আন্তর্জাদিক ডেস্ক : পশ্চিম আফ্রিকার নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর একজন সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা দেশটির জান্তা নেতাদের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করেছেন। ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, অত্যন্ত খোলামেলা ও বেশ কঠিন আলোচনা হয়েছে। খবর- বিবিসি
ওয়াশিংটন বলেছে, নাইজারের বিষয় এখনো কূটনৈতিকভাবে শেষ করা যেতে পারে। দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বাজেম পুনর্বহাল হতে পারেন।
ইতোমধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ‘অফুরন্ত সমর্থন’ ঘোষণা করেছে। এরপরই নাইজারকে সহায়তা প্রদান বন্ধ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
নাইজারের সামরিক শাসকরা প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কায় আকাশপথ বন্ধ ঘোষণা করেছেন। এর আগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো গ্রুপ ইকোওয়াস সতর্ক করেছিল যে, নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজেমকে পুনর্বহাল করা না হলে তারা শক্তি প্রয়োগ করতে পারে।
এরপরে নাইজারের সামরিক শাসকরা রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের সহযোগিতা চায়। সলিফু মোদি নামে অভ্যুত্থানের একজন জেনারেল প্রতিবেশী দেশ মালি সফরে গিয়ে ভাগনারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই সহযোগিতা চান।
গত ২৬ জুলাই সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নাইজারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজেমকে পদচ্যুত করে ক্ষমতা গ্রহণ করেন অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের প্রধান আবদোরাহমানে চিয়ানি।
নাইজার বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ। সামরিক বাহিনী বলছে, তারা নিরাপত্তাহীনতা ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ক্ষমতা দখল করেছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: