• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

জলঢাকায় নির্মানের তিন মাস পর হেলেপড়া সেতুটিতে চলাচলে দুর্ভোগ 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:৪৭ পিএম
জলঢাকায় নির্মানের তিন মাস পর
হেলেপড়া সেতুটিতে চলাচলে দুর্ভোগ 

মোঃমশিয়ার রহমান, জলঢাকা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় গত ছয় বছর আগে বন্যায় হেলেপড়া সেতুটি আজও সোজা না হওয়ায় ও সংস্কার মেরামত না করার ফলে চলাচলে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা দ্রুত সেতুটি সংস্কারের দাবি জানান। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের ১নং চরভরট ওয়ার্ড।

ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ইউনিয়ন অফিস, বাজার ও উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। আর চলাচল অনুপযোগী সেতুটি রয়েছে এই সড়কে। ২০১৭ সালের ১০ আগষ্ট বন্যার পানির স্রোতে সেতুটির একদিকে হেলে পড়লে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপরেও মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে। এখন পর্যন্ত সেতুটি সংস্কার মেরামত সহ সোজা হয়নি।স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউর রহমান জানান, আমাদের নেকবক্ত ও উপজেলা বাজারের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সড়কের সেতুটি। আর এই সড়কের ওপর নির্মিত সেতুটি ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনে নির্মিত হয় ২০১৭ সালে। আর এ কাজের দেখভাল করেছিলেন, জলঢাকা ত্রাণ ও পূর্নবাসন অফিস।কাজ শেষে তিন মাসের মধ্যে সে সময় বন্যার পানিতে সেতুটি হেলে পড়লে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এবং সড়ক ও সেতু চলাচল উপযোগী করতে এলাকাবাসী সাহায্য সহযোগিতায় বালু ফেলে ও বাঁশের সেতু নির্মাণ কর। সেই বালুও গতবারের বন্যায় নষ্ট হয়ে সেতু চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। 

বর্তমান বাঁশের সেতুটিও ঝুঁকিপূর্ণ। তারা বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে বিকল্প পথে তিন কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করেন। এই এলাকায় প্রায় তিন হাজার লোকের বসবাস। তাই সেতুটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল জানান, সেতুটি হেলে পড়ার দিনই তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল হক প্রধান ও প্রকৌশলী হারুন অর রশীদকে জানানো হয়েছিল। 

সেই সময় তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো সহ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।কিন্তু ছয় বছর হয়ে গেলেওে আজবদি সংস্কার ও মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ময়নুল হক জানান, গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ত্রাণের ১২ লাখ টাকায় এ সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০১৭ সালের মে মাসে কাজ শেষ হয়। সেই সময় বন্যার পানিতে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছিল।এলাকাবাসীর দাবি সেতুটি দ্রুত মেরামত করা হোক।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image