• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

মেডিক্যালে দুস্থ কোটার নামে বাণিজ্য বন্ধ হচ্ছে


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ ফেরুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:৪৭ এএম
এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বসে কোটা পূরণ হবে
এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি

নিউজ ডেস্ক:  বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে দুস্থ কোটার নামে বাণিজ্য বন্ধ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে দুস্থ কোটায় কোটিপতির সন্তানরা মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ভর্তি হয়ে আসছিলেন। এ কারণে প্রকৃত অসচ্ছল ও মেধাবীরা এ কোটায় ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেত না। এতদিন পাঁচ শতাংশ দুস্থ কোটা পূরণের ক্ষমতা ছিল বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে। এবার সিদ্ধান্ত হয়েছে, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস কোর্সে ভর্তিতে দুস্থ কোটা পূরণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বসে কোটা পূরণ হবে। আর এই বৈঠকে নেতৃত্ব দিবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা। বৈঠকে স্ব স্ব মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। যাকে দুস্থ কোটায় ভর্তি করা হবে, সেই শিক্ষার্থী আসলেই দুস্থ কিনা যাচাই করা হবে। প্রকৃত দুস্থদের মধ্য থেকে মেধা অনুযায়ী ভর্তি করা হবে। দুস্থদের বাড়ি-ঘরের খোঁজখবর নেওয়া হবে।

চিকিৎসা শাস্ত্রের ‘উন্নত মান’ রাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা চিকিৎসক হতে খুবই উত্সাহী। তীব্র প্রতিযোগিতায় তারা পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন। কিন্তু সবার ভাগ্যে জোটে না চিকিৎসাশাস্ত্র পড়ার। চাহিদা অনুযায়ী সরকারি মেডিক্যাল কলেজের আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় গড়ে উঠেছে বেসরকারি ৭২টি মেডিক্যাল কলেজ। বেসরকারি মেডিক্যালে পড়তে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। মধ্যবিত্ত অনেক পরিবারের পক্ষে সেই অর্থের জোগান দেওয়া কঠিন। সেই সুযোগে দুস্থের পরিবর্তে টাকার জোরেও ভর্তি হন অনেকেই।

আর বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোর অনেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকেন। গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পাঁচ শতাংশ দুস্থ কোটা রেখেছে সরকার। প্রায় বেশির ভাগ বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ দুস্থদের ভর্তি না করে ধনীর সন্তানরা সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। এখন থেকে অধিদপ্তরের নেতৃত্বে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রকৃত দুস্থ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরাই এই সুযোগটা পাবেন।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হবে আগামী ১০ মার্চ। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। দেশে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ৩৭টি। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ৭২টি। সরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০টি। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসন সংখ্যা ৬ হাজার ১১০টি। এবার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৭০ ভাগই নারী। অর্থাৎ মেডিক্যাল পড়তে মেয়েরাই বেশি আগ্রহী। এবার দেশি-বিদেশি সব পরীক্ষার্থীর ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। তাতে সবার সব তথ্য থাকবে।

মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা শুরুর প্রায় এক ঘণ্টা আগে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নারী পরীক্ষার্থীদের কান খোলা রাখতে বলা হয়েছে। কারণ অতীতে কানে ডিভাইস ব্যবহার করা হতো। যা বিভিন্ন সময় ধরাও পড়েছে। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে প্রবেশপত্রে ভবন ও হল নম্বর থাকবে। প্রবেশপত্র বিতরণ (ডাউনলোড) আগামী ৬ মার্চ ও ৭ মার্চ। পরীক্ষায় অবতীর্ণ/নির্বাচিত কোন প্রার্থীর দেওয়া তথ্য (যা ফলাফল নির্ধারণে বিবেচিত হয়েছে) অসম্পূর্ণ ও ভুল প্রমাণিত হলে, তার পরীক্ষা/ফলাফল/ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। যেকোনো বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

শনিবার মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে ওভারসাইট কমিটির সভা বেলা ১টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (এডুকেশন) অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া, বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, বিসিফিএসের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির প্রধান সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, ডিবিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম, এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান প্রভাষ আমিন প্রমুখ। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্য শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image