
নিউজ ডেস্ক: মিডিয়া তালিকাভুক্ত দৈনিক পত্রিকার প্রচার সংখ্যা, বিজ্ঞাপন হার ও পুনঃক্রম তালিকা কেন কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি পুনরায় আইনানুযায়ী ও বিধি মোতাবেক প্রচার সংখ্যা, বিজ্ঞাপন হার ও তালিকাক্রম নিরূপণ ও নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তারে মধ্যে তথ্য সচিব, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্নিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর একটি পত্রিকায় 'বাংলা জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রচার সংখ্যা পরিবর্তনে তুঘলকি কাণ্ড!' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৯ অক্টোবর জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবী ফারহাত জাহান শিরিন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারির আদেশ দেওয়া হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন সেতু। তাকে সহযোগিতা করেন রিটকারী ফারহাত জাহান শিরিন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, '৮ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে বাংলা জাতীয় পত্রিকার প্রচার সংখ্যায় ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বাজারে আসেনি এমন পত্রিকার প্রচার সংখ্যা রাতারাতি ৭০ থেকে ৮০ হাজার বৃদ্ধি করা হয়েছে। আবার নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে এমন পত্রিকা ৫০-৬০ হাজার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার কারো কারো মাত্র ৫০০, ১ হাজার, ২ হাজার কপি কমানো হয়েছে, এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ২০ থেকে ৩০টি পত্রিকার মালিক ও সংবাদকর্মীরা।'
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, 'একটি জাতীয় পত্রিকায় সারাদেশে প্রায় ৬০০ প্রতিনিধি ও প্রধান কার্যালয় মিলে এক হাজার সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকে, এতে করে ২০ থেকে ৩০টি পত্রিকার প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে পথে বসবে। যাদের আয় রোজগারের আর কোনো রাস্তা থাকবে না। অচল করে দেওয়া হয়েছে প্রায় ২০ থেকে ৩০টি পত্রিকা।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: