
নিউজ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নাইকো দুর্নীতি মামলার নথি দেখে সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ চেয়ে অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদন করেছেন । সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে খালেদা জিয়া তার আইজবীজীর মাধ্যমে এ আবেদন করেন ।
বুধবার (৩০ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জে করা বিএনপি চেয়ারপারসনের আবেদন খারিজ করেন । যার ফলে বিচারিক আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলবে ।
ওই সময় আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল । অপরদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।
২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক । এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয় ।
খালেদা জিয়া ছাড়াও এ মামলার অন্য ৭ আসামি হলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ ।
চলতি বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান । অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৭ মে খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী কায়সার কামাল ।
এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ।
দুদকের করা অপর দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয় । সেখান থেকে পরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় । সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই সরকারের নির্বাহী আদেশে তিনি মুক্তি পান । বর্তমানে তিনি নিজ বাসাতেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: