নিউজ ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের পথিকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর প্রতিকৃতি এবং বনানী কবরস্থানে পুস্পস্তবক অর্পণ করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীর নেতৃত্বে ধানমন্ডি আবাহনী মাঠে স্থাপিত শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে এবং বনানী কবরস্থানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এসময় শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও ফাতেহা পাঠ করা হয়।
পরে বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন ও কর্ম নিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
সভায় শহিদ কামালের বর্ণাঢ্য জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার, মোঃ শফিউল হক, মোঃ জাকির হোসেন। এ সময় অন্যান্যর মাঝে বক্তব্য রাখেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান, ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক, ডিটিসি-এর নির্বাহি পরিচালক সাবিহা পারভীন, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম, বিআরটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
বক্তাগণ শহিদ শেখ কামালের মাত্র ২৬ বছরের জীবনের অর্জন, মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসামান্য অবদানসহ দেশের ক্রীড়াঙ্গন, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে তাঁর অনবদ্য নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। জাতির পিতার সুযোগ্য পুত্র হিসেবে তারুণ্যের শক্তিকে তিনি দেশ গড়ার কাজে লাগিয়েছিলেন। আলোচকগণ শেখ কামালকে বহুমাত্রিক প্রতিভা হিসেবে আখ্যায়িত করে তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পরে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালসহ ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নির্মম হত্যাকান্ডে শাহাদত বরণকারী জাতির পিতাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যগণ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের মাগফেরাত ও দেশ-জাতির মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: