• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল কর: বিশিষ্টজনের দাবী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ০৯ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০:২৯ এএম
শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে
ছাত্র সংগঠনের আয়োজনে সমাবেশ

নিউজ ডেস্ক:  ছাত্রজনতার এক সমাবেশে বিশিষ্টজনেরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মূলত সাধারণ মানুষের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তাহীনতা আইন। পক্ষান্তরে এটি দেশের দুর্বৃত্তগোষ্ঠী ও লুটেরা গোষ্ঠীর দায়মুক্তির আইনে পরিণত হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে বামধারার ছাত্র সংগঠনের আয়োজনে এ সমাবেশ হয়।

সমাবেশে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিভিন্ন ধারায় পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংসদ সদস্য, উন্নয়ন প্রকল্প, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিদেশি রাষ্ট্র যদি বাংলাদেশের ওপর ভয়ংকর আগ্রাসনও চালায় কিংবা ক্ষতিকর বিভিন্ন চুক্তিতে আবদ্ধ হয় তার বিরুদ্ধেও কথা বলা যাবে না। সুতরাং এটি নিরাপত্তা দিচ্ছে তাদের, যারা বাংলাদেশের জনগণের শত্রুপক্ষ। এটা বাংলাদেশের দুর্বৃত্তগোষ্ঠী ও লুটেরা গোষ্ঠীর জন্য এক ধরণের দায়মুক্তির আইন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দীন খান বলেন, আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথা বলছি। নাম ডিজিটাল কিন্তু এটাও এক ধরনের পশ্চাৎগামিতা। সেই ডিজিটালের আড়ালে রয়েছে আরেক পশ্চাৎগামী আইন অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, যেটা হয়েছিল ১৯২৩ সালে। একটি পত্রিকার নিবন্ধন বাতিলের জন্য আমাদের নায়ক-নায়িকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দাঁড়ান। যারা তীর্থের কাকের মতো পদের দিকে, নির্বাচনের মনোনয়নের দিকে তাকিয়ে থাকেন।

দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক সাংবাদিক আবু সাঈদ খান বলেন, এই আইন মানুষের নিরাপত্তা তো দূরের কথা, মানুষের নিরাপত্তা হরণ করছে। কথা বলার স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এমনকি জীবনের স্বাধীনতাও খর্ব করছে। মুশতাক ও জেসমিন জীবন দিয়েছে। সংবাদ পরিবেশন করা গণতান্ত্রিক অধিকার। দেশের এই অবস্থায় যারা না খেয়ে আছে দিনমজুরেরা যারা কষ্টে আছে। তাদের এই কষ্টের জন্য যারা দায়ী, ব্যাংক লুটপাট করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করে যারা মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে, আজকে তারাই দায়ী, নাকি খবর যারা ছেপেছে তারা দায়ী—এটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আমরা বুঝতে পারি না শাসকদের কীসে মানহানি হয়। যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করছে, তাদের ভুলত্রুটি, অনিয়ম, দুর্নীতির সমালোচনা করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সে অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তিনি এ আইন বাতিলের দাবি জানান।

গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গবেষক মাহা মির্জা, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মীম আরফাত, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সংগঠক ডা. হারুনুর রশিদ প্রমুখ। 

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image