• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

দিনাজপুরে তিন ফসলি জমিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণের প্রতিবাদ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ০৮ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৪৭ পিএম
তিন ফসলি জমিতে
আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণের প্রতিবাদ

আব্দুস সাত্তার, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুর সদর উপজেলার র্কনাই কাটাপাড়া গ্রামের তিন ফসলি জমিতে মুকুলসহ আমের বাগান কেটে উজার করে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মানের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নারী পুরুষ ও শিশুরা। এ সময় ক্ষতিগ্রস্তরা কানায় ভঙ্গে পড়ে আর্তনাদ করেন।

বুধবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে চেহলগাজী ইউনিয়নের কর্নাই কাটা পাড়ায় মুকুলসহ কেটে ফেলা আমের বাগানের সামনে গ্রামের শতাধিক নারী ও পুরুষ এই মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন পৈত্রিক সুত্রে জমি জায়গা প্রাপ্ত হয়ে কর্নাই গ্রামে আমরা বসবাস করে আসছি। আমাদের তিল ফসলি জমিতে আমরা চাষাবাদ করে জীবন জীবিকা পরিচালনা করে আসছি । স্বাধীনতার পড় থেকে এই জমির দলিল মূলে ভোগ দখল করে আসছি । আমাদের দলিল ও দখল সুত্রে জমি হওয়ায় সর্ব শেষ মাঠ জরিপে আমাদের নামে ২৯ ধারা ,৩০ ধারায় আমাদের নামে জমির পর্চাও কেটে দেওয়া হয়েছে। ৩১ ধারায় গিয়ে আমাদের গ্রামসহ প্রায় ২০ একর ৫১ শতক  তিল ফসলি জমি সরকার খাস খতিয়ান অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছে । এ বিষয়ে বর্তমানে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান আছে। 

সম্প্রতি সময়ে দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভুমি আমাদের কোন প্রকার লিখিত নোটিশ না দিয়ে আমাদের বসত বাড়ী সংলগ্ন জমিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মানের জন্য আমাদের তিন ফসলি জমিতে মুকুলসহ আমের বাগান , কলার বাগান, ভুট্টার ক্ষেত নষ্ট করে ঘর নির্মান করছেন । আমাদের জমির কোন কাগজপত্র পর্যালোচনা না করেই তিল ফসলি জমি নষ্ট করে দিচ্ছে। প্রতিবাদ করলে মামলা দিয়ে হয়রানী করা হবে বলে হুমকি প্রদান করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল করিম বলেন আমি পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত এক একর জমিতে আমের বাগান করেছি । প্রতিটি আমের গাছে মুকুলে ছেয়ে গেছে । কত আশা ! কত স্বপ! দেখেছি । আজ সেই মুকুলসহ আমের বাগান কেটে দিচ্ছে । কত আকুতি মিনতি কর বলেছি কোন ভাবে তারা আমার কথা শুনছেনা । কার কাছে যাব, কার কাছে বিচার পাব। 

হুমায়ুন কবীর নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন কোন তিন ফসলি জমি নষ্ট করে কোন প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে না । আমাদর মত অসহায়  হত দরিদ্র পরিবারগুলির মুখর খাবার নষ্ট করে  ভুমিহীনদের ঘর নির্মান করা কতটা যুক্তিযত। আমার ২ একর জমিতে আমের বাগান ও ভুট্টার ক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছে। কিভাবে ছেলে মেয়দের লেখা পড়ার খরচ চলাব ভেবে পাইনা। 

দিনাজপুর সদর  উপজেলা নির্বাহী অফিসার  রমিজ আলম বলেন প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে ৮০টি ঘর নির্মানের জন্য ৩ একর জমির প্রয়োজন । এখানে ২০ একর ৫১ শতক জায়গা খাস খতিয়ানে আছে । তাই এই জায়গাটি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণের  জন্য নির্বাচন করা হয়েছে । তিন ফসলি জমির ফসল নষ্ট করে এই আশ্রয়ন প্রকল্প কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কিছু আমের বাগান নষ্ট হচ্ছে সত্যি তবে এবিষয়ে জেলা প্রশাসক সব কিছু জানেন । আমরা সরকারী খাস জায়গায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মান করছি । এই জমিতে ভোগ দখলকারীদেরকে  মৌখিক ভাবে বলা হয়েছে। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image