নিউজ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করতে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্যে জরুরিভিত্তিতে বিদেশ নেয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বেগম জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক ডা. এফ এম সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করাতে হবে। লিভারের সংক্রমণের কারণে বারবার পেটে পানি চলে আসছে। উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও কাজ হচ্ছে না। পেট থেকে পানি হৃদযন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তাকে দুইবার সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
ডা. এফ এম সিদ্দীকী বলেন, ২০২১ সালে বেগম খালেদা জিয়া কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এভার কেয়ারে ভর্তি হন। এরপর তার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। তার খাদ্যনালীতে রক্তপাত শুরু হয়। আসরা তখর ক্যাপসুল অ্যান্ডোসকপির মাধ্যমে তার ব্লিডিং বন্ধ করি। ২০২২ সালের জুনে উনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তার রক্তনালীতে স্ট্যান্টিং করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের ৯ আগস্ট থেকে বেগম খালেদা জিয়া আবারো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে দুইবার তার শরীরের পানি বের করার জন্য তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। গত দুই বছর আগে তার টিপস করা গেলে, সঠিক চিকিৎসা পেলে ওনার পেটে পানি জমতো না বা রক্তক্ষরণও হতো না। এখনও সময় আছে, টিপস করা গেলে ওনাকে সুস্থ করা সম্ভব হবে। এই চিকিৎসা আমাদের দেশে সম্ভব নয়। আমাদের দেশে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার মতো সেটাপ, সার্জন, ম্যান পাওয়ার কোনোটাই নেই।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানান, লিভার সিরোসিসসহ নানা শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত খালেদা জিয়া। তার বুকে ও পেটে পানি চলে এসেছে। বাংলাদেশে তার আর তেমন কোনো চিকিৎসার অপশন নেই। পেটের ও বুকের পানি বের করা এবং অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া ছাড়া আর কোনো চিকিৎসা নেই দেশে। ওনার মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: