• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বিরামপুরে কোরবানি উপলক্ষে কামারিদের ব্যস্ততা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৩৪ এএম
বিরামপুরে কোরবানি উপলক্ষে
কামারিদের ব্যস্ততা

এম,ডি রেজওয়ান আলী, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: সারাদেশ তথা সমগ্র মোসলিম বিশ্বে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য পশু কোরবানির মধ্যে দিয়ে পালিত হয় পবিত্র ঈদুল আজহা। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মুসলিম উম্মাহর মাঝে যাহা কোরবানির ঈদ বলে পরিচিত। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা প্রিয় দিবসটি উপলক্ষে পশুটি জবাহের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে।

এই কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে বিরামপুরে গোস্ত  কাটার সরঞ্জাম বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারের দল। দা,বটি,হাসুয়া,চাপাতি,ছুরি সহ নানাবিধ সরঞ্জাম তৈরী করছেন কামাররা। টুং-টাং শব্দে মুখরিত কামারশালার দৃশ্য। আবারও কিছু সরঞ্জাম নতুন বানাচ্ছেন আবার পুরাতন গুলো শান দিচ্ছেন ভোক্তা গণ। যেন কোরবানির আমেজে মেতে উঠেছে  কামারশালার। বছরের অন্যান্য দিন গুলোতে তেমন কাজ হাতে থাকেনা কামারশালায়। সময় গুলোতে অলস সময় পার করলেও কোরবানির ঈদে যেন ব্যস্ততা চতুর্গুণ বেড়ে যায়। কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে কর্মব্যস্ততা দৃশ্য।

বছরের এই সময়টিতে অনেকাংশে তাদের লাভও বেড়ে যায়। যার ফলে সময় নষ্ট করতে নারাজ কামাররা। এই ব্যস্তমুখর সময় চলে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত। তবে কয়লা,লোহা সহ পারিশ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধি হবার ফলে আগের মতো লাভ নেই বলে জানান কামাররা। তবে পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতেও যেন বদ্ধপরিকর তারা। যার ফলে কোরবানির ঈদে ব্যস্ততার মাঝে ডুবে থাকেন সকলেই।উল্লেখ,একসময় সকালে ঘুম থেকে উঠলেই কামারপড়ায় শোনা যেত কামারশালার টুং-টাং শব্দ। বর্তমানে অনেকাংশে কম শোনা যায়। বর্তমানে আধুনিকায়ন হবার ফলে রেডিমেড জিনিসপত্রের কদর বেড়েছে। যার ফলে তৈরীকৃত জিনিপত্রের চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় কামারেরা।

বিরামপুর উপজেলার বেশ কয়েকজন কামারের সাথে কথা হলে তারা বলেন,বর্তমান সময়ে সারাবছর ব্যবসায় মন্দা চলে। তবে এই উপজেলার কৃষিপণ্য যেমন ধান,গম,পাট,কালাই ইত্যাদি হারভেস্ট করার জন্য কাস্তে ব্যবহার করা হয়। যে কারনে সেসব মৌসুমে কিছুটা ব্যবসা চললেও তা দিয়ে তেমন লাভ হয় না। আমরা এই কোরবানীর সময়ের অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু এই সময়টাও রেডিমেড জিনিসপত্র বাজারে আসার ফলে আগের মতো মুনাফা হয় না।এই কারণে অনেকেই পেশা বদলিয়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। উপজেলা সদরে প্রতি সপ্তাহে শনিবারে একটি হাট বসে। পূর্বে ইরি ও আমন মৌসুমে এই এলাকায় ধান কাটার জন্য কাস্তে ও আষাঢ় শ্রাবণ মাসে পাট কাটার জন্য বড় বড় হাসুয়া তৈরির বায়না হয়ে থাকে। এখন হাটে বাজারে লোকের তেমন সমাগম অনেকাংশে কমে গেছে। এমন অবস্থায় বিরামপুর পশুর হাটের মধ্যে কিছু সারি বদ্ধ দোকান রয়েছে। পাশাপাশি লোকাল বাস কাউন্টারে একটি ও শালবাগান মোড়ে একটি কামারের দোকান রয়েছে।

এবিষয়ে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বর্তমানে প্রতিটি দা তৈরিতে প্রকারভেদে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ২শ’ থেকে ৪শ’ টাকা। চাকু তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ১শ’ টাকা। বড় ছুড়ি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ৪-৫শ’ টাকা। বটি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে দেড়শ টাকা থেকে আড়াইশ টাকা মাত্র। এ বিষয়ে স্থানীয় ক্রেতারা বলেন,আর মাত্র কয়েক দিন পরেই ঈদ। গরু ও ছাগল জবাই দিতে এবং মাংস কাটতে দা,বটি,চাকু ও ছুরির প্রয়োজন। এজন্য বাজারে দা,বটি ও ছুরি কিনতে এসেছি।

তবে গতবছরে এসব জিনিসের দাম খানিকটা বেশি।এবিষয়ে লোহার তৈরী জিনিপত্র পাইকারী বিক্রেতারা বলেন,সারা বছরই তারা দা,বটি,চাকু,ছুরি বিক্রি করি।তবে কোরবানির মৌসুমেই এসব সরঞ্জামের কেনা-বেচার ধুম পড়ে থাকে। এবার ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে কয়লা ও লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় কামারদের কাছ থেকে বেশি দামে এসব জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে। যার ফলে কিছুটা বেশি দামে আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image