সুমন দত্ত: বাংলাদেশে ডিমের দাম হঠাৎ বেড়ে যাবার পিছনে ভূমিকা রেখেছে প্যারগণ ও কাজী ফার্ম। এই দুই কোম্পানির বেধে দেওয়া দামের কারণে বাজারে ডিমের দাম এক লাফে বেড়ে গেছে। সরকার কিংবা ভোক্তা অধিকার এদের আড়তে কখনই যায় না। এরা কীভাবে দাম বাড়ায় তার খবরও রাখে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়। গত কয়েকদিনের মুরগির ব্যবসা থেকে তারা ৫১৮ কোটি টাকা অতি মুনাফা করে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ডিলার খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ সুমন হাওলাদার। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস খন্দকার , সহ সভাপতি বিপ্লব কুমার দেসহ সংগঠনের ঊর্ধ্বতন নেতারা।
বক্তারা বলেন, গত কয়েকদিনের এই দুই কোম্পানির সঙ্গে আরো কয়েকটি কোম্পানি একত্রিত হয়ে ডিমের দাম বাড়িয়ে ১১২ কোপি টাকা বাড়তি মুনাফা নিয়েছে। তারা যে শুধু ডিমের থেকে এই মুনাফা তুলেছে তা নয়। তারা মুরগির একদিনের বাচ্চা থেকে ২৩৪ কোটি ও ব্রয়লারের মুরগির দাম বাড়িয়ে ১৭২ কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে নিয়েছে।
কোনো কারণ ছাড়াই এই মুনাফা তোলে তারা। অন্যদিকে ডিলার ও প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়ে রয়েছে। সরকারি যত সুযোগ সুবিধা এই দুই কোম্পানির লোকজন ও তাদের সহযোগীরা পেয়ে থাকে। বাকীরা কোনো সরকারি সুযোগ সুবিধা পায় না।
পোলট্রি ব্যবসার কোনো নীতিমালা না থাকা এবং সরকারের মনিটরিং না থাকায় এসব হচ্ছে। সারা দেশে ১ লাখ ছোট বড় পোলট্রি খামারি রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৬০ হাজার খামারি সচল আছে। বাকী ৪০ হাজার খামারি ক্ষতির শিকার হয়ে পোলট্রি ফার্ম বন্ধ করে দিয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: