মোঃ আব্দুস সাত্তার,দিনাজপুর প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেছেন সীমান্ত এলাকায় বিজিবি অতন্ত প্রহরী হিসেবে শুধু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করছেনা, বিজিবি সীমান্ত এলাকায় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে । মাদকদ্রব্য চোরাচালান শুধু দারিদ্রতার কারণ হয় না এটা একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিত্তশালী পরিবারের সন্তানেরা আজকে ইয়াবা হেরাইনে আসক্ত হয় পড়েছে। মাদক যুব সমাজকে ধংস করছে ও সমাজের সুখ শান্তি নষ্ট করছে। ঝরে পড়ছে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা। মাদকের ভয়াল থাবায় অনেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধি হয়ে পড়েছে।
সর্বগ্রাসি মাদকের প্রসার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কঠোর হস্তে এর প্রতিরোধ করতে হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন। আর এই মাদক প্রতিরাধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
০২ জুন বহস্পতিবার সকাল ১০ টায় দিনাজপুর সেক্টরের অধীনে ৪২ ব্যাটালিয়নের আয়োজনে বিজিবি ক্যাম্প মাঠে মাদক বিরোধী অভিযানে আটক কৃত ৩ কোটি ২৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৬৭ টাকা মূল্যর অবৈধ মাদকদ্রব্য ধংস করন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।
দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি উত্তর-পশ্চিম রিজিয়ন রংপুরের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম নওরোজ এহসান বিএসপি পিএসপি,জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, এসময় উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট ২০ বিজিবির অধিনায়ক লে কর্নেল মোঃ রফিকুল ইসলাম, ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে কর্নেল মোঃ রেজাউল করিম, ২৯ বিজিবির অধিনায়ক লে কর্নেল মোঃ শরীফ উল্লাহ আবেদ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শচিন চাকমা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মুনিরুল ইসলাম, কাস্টমস্ এক্সাইজও ভ্যাট বিভাগ দিনাজপুরের ডেপুটি কমিশনার মোঃ সাইদুল আলম, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শাহ নেওয়াজ প্রমুখ।সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদ সরকার, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মর্তুজা আল মুঈদ,সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ রবিউল আলম সোহাগপ্রমুখ ।অনুষ্ঠানটি সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন দিনাজপুর ৪২ ব্যাটালিয়ান বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্নেল মোঃ রেজাউল করিম।
উল্লেখ্য ৪২ ব্যাটালিয়ান ও ২৯ ব্যাটলিয়ান কর্তৃক সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত আটককৃত অবৈধ মাদকদ্রব্য ধংস করা হয়। ধংসকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে ছিল ভারতীয় ফেন্সিডিল, ভারতীয় মদ,বাংলা মদ, নেশা জাতীয় ইঞ্জেকশন, নেশাজাতীয় ট্যাবলেট, যৌন উত্তেজক সিরাপ, গাঁজা, ইয়াবা ও হেরোইন ।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: