• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বিরামপুরে বোরো ধানে ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০১:০৯ পিএম
বিরামপুরে বোরো ধানে
ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

এম,ডি রেজওয়ান আলী, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুর বিরামপুরে বোরো ধানে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ধান কাটার ধুম লেগেছে। বর্তমানে আগাম জাতের ধান কাটছেন কৃষকরা। অন্য জাতের ধানও কাটছেন কৃষকেরা। কয়েক দিনের মধ্যে সব জাতের ধানই ঘরে তুলবেন তারা এমনই মন্তব্য কৃষকদের।

২৯শে এপ্রিল দিনাজপুর জেলা সহ বিরামপুর উপজেলার ফসলের মাঠে যেদিকেই তাকানো যাবে সেদিকেই কেবল সোনালি ধানের সমারোহ। রোদ আর বাতাসে ফসলের মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। মাঠ গুলোতে ধান সবুজ বর্ণ থেকে হলুদ বর্ণ ধারণ করছে। ধান পাক আর মৌ মৌ গন্ধে ভরে গেছে সারা ধানের মাঠ।

শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর কৃষকরা বোরো ধানের আশাতীত ফলনের আশা করছেন। সপ্তাহ খানেক আগে তীব্র তাপপ্রবাহে কিছু কিছু ফসলের মাঠে ধান ধান নষ্ট হওয়ার অভিযোগ করেছেন দু-একজন কৃষক। এবিষয়ে কৃষি বিভাগ বলছে,আবহাওয়া জনিত কোনো সমস্যা নয়। পুরোনো জাতের ধানে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে,চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৭১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। তবে চাষ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী। জেলায় নতুন জাতের ব্রি-৮৯,ব্রি-৯২,উফসি-২৯ জাতের ধান বেশি চাষ হয়েছে। এ ছাড়া ব্রি-২৮ ও ২৯ মিনিগেট জাতের ধান অনেক কৃষক চাষ করেছেন। মৌসুমের শুরুতে কৃষি বিভাগ সরকারি প্রণোদনার আওতায় আউশ ধানের বীজ বিতরণ করেছে। পাশাপাশি এসব ধান চাষে কৃষকদের বিনামূল্যে সার ও কীটনাশকও দেওয়া হয়েছে। বিরামপুর পৌর এলাকা সহ ইউনিয়ন পর্যায়ে

চিকন চালের জাতের ধান চাষ করেছেন অনেক কৃষক। এ বিষয়ে কৃষকেরা বলেন ধান কাটা শুরু করেছি। শ্রমিকদের চুক্তি দিয়েছি। তারা ধান কাটা এবং মাড়াই করে দেবে। গত বছরের মতো এ বছর শ্রমিক সংকট নেই। ধান কাটার শ্রমিকগণ যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যান্ত্রিক কাটার মেশিন। কৃষকগণ আরও বলেন,বিঘা প্রতি ২২-২৫ মণ ধান হয়েছে। বাজারে প্রতি মণ ১,০০০-১,১০০ টাকা বিক্রি চলছে। ৩৩ শতকের বিগায় শ্রমিক গন ধান কাটছেন ৩,৫০০-৪,০০০ টাকায়। আর ৪৯ শতকের বিঘায় শ্রমিকগণ ধান কাটছেন ৫,০০০-৫,৫০০ টাকা। শ্রমিকগণ তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যেই ধান কাটার কাজ করছেন।

তবে ধান রোপন করা থেকে মারাই করা পর্যন্ত সার বীজ কীটনাশ ক সব মিলে হিসাব করে লাভের অংশ অনেকাংশেই কম হবে। এ বিষয়ে অনেক কৃষকেই বলেন,
জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। অন্য বছরের তুলনায় এবার জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। বাজার সহনীয় থাকলে দামে লাভবান হওয়া যাবে। পৌর এলাকার বোরো চাষীরা বলেন,আমি ৪০ শতক জমিতে ২৮ জাতের ধান চাষ করেছি। হঠাৎ গত দুদিন আগে গিয়ে দেখি পুরো জমির সব ধানের শীষ সাদা হয়ে গেছে। পুরো লোকসানে পড়ে গেলাম। ধানের শীষে সাদাবর্ণ ধারণের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন,পুরোনো জাতের ধানগুলোতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

এরমধ্যে সাদাবর্ণ ধারণ করা অন্যতম। আমরা কৃষকদের নতুন নতুন জাতের ধান চাষে উৎসাহিত করেছি। এ বিষয়ে দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.নূরুজ্জামান প্রতিবেদককে বলেন,আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। বড় ধরনের ঝড়,বৃষ্টি অথবা শিলাবৃষ্টি না হলে ভালো ধান পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ৩০-৪০ দিনের ভেতর কৃষক ধান ঘরে তুলতে পারবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image