• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও আত্মনির্ভরশীল বিলকিস


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:২৬ পিএম
শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও আত্মনির্ভরশীল বিলকিস
বিলকিস খাতুন(৩৫)।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রতিবন্ধকতা কখনোই সাফল্যকে আটকাতে পারে না। প্রতিবন্ধীরা এখন সমাজের বোঝা নয়, সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা পেলে তারাও বদলে দিতে পারে সমাজ, সংসার ও পরিবার। সমাজের মানুষের ভালো দৃষ্টি ও রাষ্ট্রের সামান্য সহযোগিতা আট দশজনের মতো সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষের ন্যায় দেশ জাতি গঠনে সার্বিক ভাবে ভুমিকা রাখতে পারে।

এমনই একজন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের করিলাবাড়ি গ্রামের মেয়ে বিলকিস খাতুন(৩৫)। শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও জীবন সংগ্রামে থেমে নেই। কাজের মাঝেই তার পরম আনন্দ। তার পিতা মৃত সোলাইমান হোসেন, মা বেঁচে আছেন। ব্যাক্তি জীবনের তিনি বিবাহিত ছিলেন, পারিবারিক ভাবে স্বামীর সংসার থেকে তিনি বিচ্ছিন্ন। বোনের সন্তানকে নিজের সন্তান মনে করে লালনপালন করছেন তিনিবিলকিস খাতুন তার নিজস্ব প্রচেষ্টায় বান্ধবীর সহযোগিতায় ধানগড়া উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়েছেন বিলকিস পাপিয়া টেইলার্স অ্যান্ড ফ্যাশন হাউস। নিজে আর বান্ধবী পাপিয়া খাতুন মিলেই ব্যবসা পরিচালনা করেন। যা আয় হয় তা দিয়েই চলে তাদের সংসার।বিলকিস খাতুন শারীরিক প্রতিবন্ধী বয়স ৩৫ বছর। শারীরিক প্রতিবন্ধী হিসেবেই তার জম্ম। সে আট দশজনের মত হাটা চলা করতে পারে না। স্থানীয় নেতা কর্মীদের মাধ্যমে স্থানীয় এমপি ডাঃ আব্দুল আজিজের সহযোগিতায় তিনি একটি চলাচলের জন্য ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা পেয়েছেন।সেই অটো রিকশা করে বিলকিস তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সব জায়গায় চলাচল করেন।তিনি জানান শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও আমি হালাল ভাবে অর্থ উপার্জন করে সংসার চালাচ্ছি।বর্তমানে এনজিও থেকে লোন নিয়ে সেলাই মেশিন ক্রয় করে এই দোকান দিয়েছি।ক্রেতাদের ভীর থাকলেও অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছল না থাকায় দোকানে তেমন পণ্য সামগ্রী তুলতে পারছি না।

সরকারি অথবা বে সরকারিভাবে কেউ সহযোগিতা করলে হয়তো ব্যবসায় সফলতা পাবো।প্রতিবন্ধী বিলকিস খাতুনের সহযোগি পাপিয়া খাতুনের বাড়ি উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের বাঐখোলা এলাকায় সংসার জীবনে ১ ছেলে আর ১ মেয়ে রয়েছে তার।পারিবারিক ভাবে স্বামীর সংসার তারও ত্যাক করতে হয়। হঠাৎ পরিচয়ের মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয় প্রতিবন্ধী বিলকিসের সঙ্গে। সেই থেকে দুজনে এক সাথেই চলা ফেরা করেন।তিনি জানান,বিলকিস খাতুনের সঙ্গে তিনিও উদ্যোগ নেন টেইলার্স ও ডিজাইন ব্যবসার।স্থানীয় এনজিওর মাধ্যমে লোন নিয়ে তারা দুজনে মিলে শুরু করেন এই ব্যবসা। খুব ভালোই চলছে তাদের বেচাকেনা। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে পারছে না।তাই তারা জানান সরকারি ও বেসরকারি ভাবে তাদের অর্থনৈতিক ভবে সহযোগিতা করলে তারা এই ব্যবসায় সফলতা পাবেন।

বিলকিস খাতুন বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে কোথায়ও কাজের সুযোগ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে দর্জির কাজ বেছে নেই। প্রতিবন্ধী ভাতা ও কাজের আয়ের টাকায় কষ্টে চলে আমার সংসার। উপজেলার সামনে একটা ঘর ভাড়া নিয়ে এনজিও থেকে লোন নিয়ে সেলাই মেশিন কিনে টেইলার্সের দোকান দিয়েছি। ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় দোকানে তেমন কোনো পণ্যসামগ্রী তুলতে পারছি না। সরকারি অথবা বেসরকারিভাবে কেউ আমাকে সহযোগিতা করলে দুই মুঠো ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারতাম।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ইলিয়াস হোসেন বলেন, উপজেলায় প্রতিবন্ধীদের কার্ড শতভাগ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বিলকিস খাতুন প্রতিবন্ধী কার্ডের সুবিধা ভোগ করছেন। এ ছাড়াও আমরা তাকে ঋণ দিয়ে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছি।

ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস

আরো পড়ুন

banner image
banner image