জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় ইরি-বোরো মৌসুমে ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বাজারে আমন ধানের দাম ভালো পাওয়া এবার ইরি-বোরো ধান চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে উপজেলাজুড়ে শীত উপেক্ষা করে কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোমর বেঁধে মাঠে কাজ করছেন চাষিরা। এদিকে বাজারে ডিজেল তেল ও কীটনাশক ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষে বিঘা প্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলার জলঢাকা উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।কৃষকরা জানান, বাজারে আমন মৌসুমের ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় এ বছর আমন ধানের ফলন যেমন ভালো হয়েছে, তেমনি বাজারে দামও বেশ ভালো পেয়েছেন চাষিরা। ফলে সব মিলিয়ে এবার ইরি-বোরো ধান চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা।
উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের আমিনুর রহমান, গোলমুন্ডা ইউনিয়ন আনিছুর রহমান, আতিয়ার রহমান সহ অনেকে জানান,, গত কয়েক বছরের তুলনায় বর্তমানে বাজারে ধানে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। তাই কৃষকরা ইরি-বোরো ধান চাষে বেশি ঝুঁকেছেন। ইতোমধ্যেই অধিকাংশ জমিতেই ধান রোপন করেছেন কৃষকরা।
তারা জানান, বাজারে ডিজেল তেল ও কীটনাশক ওষুধের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় কৃষকদের ধান চাষে বিঘা প্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে।
জলঢাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমন আহম্মেদ জানান, ইরি-বোরো ধান চাষে কৃষি বিভাগ কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এবার চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১লক্ষ ৬০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই জমিতে ধান রোপন করা শুরু হয়ে গেছে। আশা করছি, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: