বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুর বিরামপুরে দিওড় ইউনিয়নের বেপারীটোলা উচ্চ বিদ্যালয় প্রঙ্গনে বিট পুলিশিং কার্যক্রমে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ অক্টোবর দিনাজপুর বিরামপুরে ৪নং দিওড় ইউনিয়নের বেপারীটোলা এসময় উপস্থিত ছিলেন,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বিরামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার,দিওড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল,বেপারীটোলা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাফি মন্ডল, বিএসসি শিক্ষক আজিজুল হক, আব্দুল ওয়াহাব,ওয়ার্ড সদস্য মোক্তারহোসেন, ফেন্সিয়ারা, আরিফুন্নাহার, রবিউল ইসলাম সহ প্রমূখ গন উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের সেবাকে জনগণের নিকট পৌঁছে দেওয়া,সেবার কার্যক্রমকে গতিশীল ও কার্যকর করা এবং পুলিশের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে প্রতিটি থানাকে ইউনিয়ন ভিত্তিক বা মেট্রোপলিটন এলাকায় ওয়ার্ড ভিত্তিক এক বা একাধিক ইউনিটে ভাগ করে পরিচালিত পুলিশিং ব্যবস্থাকেই বলা হয় বিট পুলিশিং। উক্ত সভায় উপস্থিত সকলের বক্তব্যে মুল প্রতিপ্রাদ্য হিসাবে উঠে আসে অপরাধ দমনে বিট পুলিশিং হবে গৃহ সহায়ক অপরাধ দমনে বিট পুলিশিং হবে গৃহ ডাক্তার। বিট পুলিশিং হলো কমিউনিটি পুলিশিংয়ের পরিপূরক। বিট অর্থ হলো ক্ষুদ্র অর্থাৎ পুলিশিং কার্যক্রমকে আরো ক্ষুদ্র আকারে নাগরিকদের দোড়গোঁড়ায় পৌঁছানো।
পুলিশ ও মানুষের সম্পর্ক সুদৃঢ় করতেই বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অপরাধ প্রবণতা ও মাদক রোধে এই বিট পুলিশং অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। সমাজের প্রত্যেককে সঙ্গে নিয়ে বিট পুলিশিংয়ের কাজ তরান্বিত করতে হবে। সন্ত্রাসী যে কেউ হোক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবে না।
এদিকে বিট পুলিশের এর আয়োজনে দিওড় ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একজন এসআই, দুজন এএসআই ও পাঁচ জন কনস্টেবল প্রতিটি বিটে দ্বায়িত্বরত থেকে পুলিশিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। তাদের জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে ক্রাইম নোট বুক। ক্রাইম নোট বুকের মাধ্যমে নিয়মিত প্রতিবেদন নেবেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি নিরাপদ সমাজ গড়ি প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পুলিশিং সেবা নাগরিকরা যাতে নিজ নিজ গৃহে থেকেই ভোগ করতে পারে সে লক্ষ্যেই কাজ করছে পুলিশ।
বর্তমান সময়ে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ একটি বিস্ময়কর সাফল্য। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “আমার গ্রাম আমার শহর” কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে নাগরিক সুবিধা সম্প্রসারিত করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ। উন্নয়নের এ জয়যাত্রায় জনগণের পাশে থেকে পুলিশের সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে আধুনিক নগর সুবিধা তথা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ পুলিশ অঙ্গীকারাবদ্ধ। উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে এবং টেকসই করতে হলে দেশের প্রধান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসাবে পুলিশকেও একইযোগে এগিয়ে যেতে হবে।
আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে পুলিশের সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে বিট পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে।
পুলিশকে কীভাবে জনমুখী ও জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা যায়, প্রতিটি থানা এলাকার দূরবর্তী অঞ্চলে কীভাবে পুলিশের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়, পুলিশের কার্যক্রমে কীভাবে আরও গতি আনা যায়, এবং সর্বোপরি বিদ্যমান জনবলের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে পুলিশকে কীভাবে অধিকতর গতিশীল ও জনসেবমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা যায়- তারই একটি সমন্বিত প্রায়াস হলো বিট পুলিশিং কার্যক্রম।পিআরবি ৩৫৬(খ) এবং ১০৮৭ তে বিট পুলিশিং এর বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিট পুলিশিং এর শ্লোগান হলো ‘আপনার পুলিশ আপনার পাশে, তথ্য দিন সেবা নিন’ ও ‘বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি’।
বিট পুলিশিং এর লক্ষ্য হলো পুলিশের সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। পুলিশের সেবাকে সরাসরি থানা থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃতকরণের মাধ্যমে ইউনিয়ন/ওয়ার্ড পর্যায়ে নিবিড় পুলিশিং করা যাবে। থানায় মোতায়েনকৃত জনবলের সর্বোত্তম ব্যবহার করা হবে। প্রান্তিক পর্যায়ে জনসম্পৃক্তির মাধ্যমে এলাকায় উত্থিত বা বিরাজমান সমস্যার প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধ সংক্রান্ত অগ্রিম গোপন সংবাদ এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সমাজ থেকে অপরাধ ভীতি দূরীকরণ পূর্বক জনমনে স্বস্তি ও আস্থা স্থাপন করা যাবে বলে বিশ্বাস করি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: