বরিশাল প্রতিনিধি : ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ছয়মাইল এলাকার যাত্রীবাহী বাস ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে এই সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি হেলাল উদ্দিন। আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা সবাই ট্রলির যাত্রী।
নিহতদের মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড রাজমাতা কলসগ্রামের আবুল কালাম হাওলাদারের ছেলে এমদাদুল হক (৩৮), বাবুগঞ্জের পশ্চিম রহমতপুর বাদামতলা ৩নং ওয়ার্ড এলাকার সেন্টু হাওলাদারের ছেলে নাদিম হাওলাদার (১২) ও বাবুগঞ্জের উওর রহমতপুর এলাকার সিনবাদ।
আহতদের মধ্যে তিনজনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন, কলসগ্রামের বাসিন্দা ফারুক হোসেনের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (১৭), উজিরপুরের ইউসুফ আলীর ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৫) এবং বাকেরগঞ্জের হাবিবুর রহমান হাওলাদারের ছেলে হামিম হাওলাদার (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, গুণগুণ ট্রাভেলস এর একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে বরিশালের নথুল্লাবাদ টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিলো। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, দুর্ঘটনা কবলিত দুই যান উদ্ধার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে বরিশালে আসার পথে ছয় মাইল এলাকার মল্লিক বাড়ির সামনে গুণগুণ পরিবহণের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলিকে চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই দু’জন মারা যান। বাকিদের উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা সবাই ট্রলির যাত্রী। লোকমান হোসেন আরও বলেন, ঘটনার পর বাসের চালক ও হেল্পার পালিয়ে গেছে। তবে বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: