নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল প্রথম ম্যাচের ভুল শুধরে নেপালের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে চায়। অভিষেক ম্যাচে খুব একটা ভাল করতে না পারলেও, তা কাটিয়ে উঠতে চান মাতসুশিমা সুমাইয়া। কোচিং স্টাফে পরিবর্তন এলেও তা দলের পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও জানান ফুটবলাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে চাপমুক্ত থেকে হিমালয় কন্যাদের হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিতের লক্ষ্য সাফজয়ীদের।
দীর্ঘ দশ মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে প্রত্যাশিত শুরু হয়নি নারী ফুটবলারদের। যে নেপালকে হারিয়ে গেল বছর ১৯ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ জিতেছিল, সেই নেপালকে দিয়ে আবারো নতুন অধ্যায় শুরু হয় সাবিনাদের। মাঝে নারী ফুটবলে এসেছে অনেক ঝড়। তার রেশ কিছুটা হলেও পড়েছে ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে। অনেকেই দল ছেড়েছেন । নেপালের বিপক্ষে দরজা খুলেছে রিপা, আফিদা, মাতসুশিমা সুমাইয়াদের মতো নবীনদের।
বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেকের লালিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে মাতসুশিমা সুমাইয়ার। তবে, আলো ছড়াতে পারেননি জাপানে জন্ম নেয়া এই ফুটবলার। সে ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে চান। জানালেন দীর্ঘমেয়াদে জাতীয় দলকে সার্ভিস দেয়ার লক্ষ্য তার। শেষ ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিতের লক্ষ্য ফুটবলারদের।
সুমাইয়া বলেন, ‘আমার (জাতীয় দলে খেলার) স্বপ্নটা পূরণ হয়েছে। ঠিকমতো পারফরম্যান্স করতে পারিনি। তবে পরবর্তী ম্যাচ থেকে চেষ্টা থাকবে আরও ভালো করার। ইন-শা-আল্লাহ, আমার স্বপ্ন আছে, বাংলাদেশকে লম্বা সময় সার্ভিস দেয়ার।’
শাহেদা আক্তার রিপা বলেন, ‘অবশ্যই সবাই জয়ের জন্যই মাঠে নামে। আমরাও চেষ্টা করব জয় পেতে।’
সাফ জয়ের পর দলের দায়িত্ব ছেড়েছেন দীর্ঘদিনের কান্ডারী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। কোচিং স্টাফে পরিবর্তন দলের পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার শামসুন্নাহার।
তিনি বলেন, ‘আমরা নয় মাস পর খেলতে নেমেছি। তবে এটাকে আমরা সমস্যা মনে করিনি। কারণ আমরা মাথায় রাখিনি যে নয় মাস পর খেলছি। সাফে আমরা যেমন ছিলাম, এখনো একই ছন্দ আছে। কোনো কিছু পরিবর্তন হয়নি।’
দীর্ঘদিন ম্যাচ না খেলার প্রভাব মাঠে পড়বে না বলেও জানান শামসুন্নাহার। ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের শেষটিতে বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রোববার (১৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-নেপাল।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: