• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

গণমিছিলে লাখো মানুষের সমাগম ঘটাতে চায় বিএনপি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১২:০৭ পিএম
গণমিছিলে লাখো মানুষের সমাগম
বিএনপি

নিউজ ডেস্ক : শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে 'গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা'য় ঘোষিত ১০ দফা দাবিতে মিছিল শুরু হবে। 

এ কর্মসূচিতে ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কাজ করছেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। যুগপৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমমনা জোট ও দলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছে লিয়াজোঁ কমিটি। 

গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার কৌশলসহ আগামীতে কী ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে, সেসব নিয়ে চুলচেরা বিশ্নেষণ করেন তাঁরা। বিভিন্ন জোট ও দলের নেতাদের মতামত গ্রহণ করেছেন বিএনপি নেতারা। তবে এখন পর্যন্ত নতুন কর্মসূচির বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আবারও এসব দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক আছে দলটির। এ বৈঠকে উত্থাপিত প্রস্তাবনা বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বিএনপির ঘোষিত শুক্রবারের এ কর্মসূচিতে তিনটি জোট ও পৃথকভাবে আরও তিনটি দল মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৩টি দল সমর্থন জানিয়েছে। একই দিন তারাও পৃথকভাবে এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চের সাতটি দল, ১২ দলীয় জোটের বারোটি দল, ১১ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের এগারো দল এবং জামায়াত, এলডিপি, গণফোরাম (মন্টু) রয়েছে। এর বাইরে আরও বেশ কয়েকটি দল নিজেদের মতো করে ওই কর্মসূচি পালন করবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোর সঙ্গে কর্মসূচি সমন্বয়ের জন্য গঠিত লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর দিনের ভোট রাতে হয়েছে। এই দিনটিকে তাঁরা 'ভোট ডাকাতি' দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন। এবারও তাঁরা একদিকে সরকার পতনের আন্দোলনে ১০ দফা দাবি আদায়ে কর্মসূচি পালন করবেন, তেমনি ভোট ডাকাতির দিবসও পালন করছেন। গণমিছিলের মাধ্যমে এটি করা হচ্ছে। আগামীতে আরও নতুন কর্মসূচি আসছে।

গণমিছিল কর্মসূচি সফল করতে বিএনপির পক্ষ থেকে বড় ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আয়োজক নেতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জানান, তাঁদের শান্তিপূর্ণ এই মিছিলে কয়েক লাখ লোকের সমাগম ঘটবে।

শুধু দলীয় নেতাকর্মী নন, ছুটির দিন থাকায় অনেক সাধারণ মানুষও তাঁদের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে আশা করছেন তাঁরা।

বিএনপি নেতারা জানান, গত জুলাই থেকে তাঁদের রাজপথের কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে সফল হওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা এখন বেশ উজ্জীবিত। সারাদেশে মামলার পাহাড়, ধরপাকড়, হামলার পরও যে কোনো কর্মসূচিতে তাঁরা অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের এ মনোবল ধরে রাখতে সব ধরনের চেষ্টা, কৌশল ও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। 

একটি কর্মসূচি থেকে আরেকটি কর্মসূচির সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে। যাতে নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে ব্যস্ত সময় পার করতে পারেন। এর মাধ্যমেই তাঁরা সরকার পতনের এক দফা ও চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ঢাকায় লোক সমাগমের জন্য এরই মধ্যে ঢাকা মহানগরের প্রত্যেক থানা, ওয়ার্ড এমনকি ইউনিট পর্যায়ের নেতাকর্মীর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দলের প্রত্যেক অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর বাইরে ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকেও অনেক নেতাকর্মী আসবেন বলে আয়োজক নেতাদের অনেকে জানিয়েছেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image