
নিউজ ডেস্ক : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ পুনর্গঠনে নেমে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে ৯৪ ডলার মাথাপিছু আয় থেকে ২৭৭ ডলারে মাথাপিছু জিডিপি উন্নত করেছিলেন আর সামরিক শাসকেরা ২১ বছরে মাত্র ৫২ ডলার জিডিপি প্রবৃদ্ধি করেছিল দেশের। এ চিত্র থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশে কতটা পিছিয়ে পড়েছিল সামরিক নেতৃত্বের হাতে। ভৌগোলিক ছোট আয়তনের ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি থেমে যাওয়ার ফলে দেশের সমস্যা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী ২৬ জুলাই মিরপুরে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অভ্ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)তে ‘এডভান্সেস ইন সিভিল ইনফ্রাস্ট্রাকচার এন্ড কন্সট্রাকশন মেটারিয়ালস’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী ২য় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর আরো ১০ টি দেশের বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।
মন্ত্রী বলেন, খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশকে তিনি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তোলেন। তিনি বলেন, সমাজের সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে একসাথে নিয়ে দেশের উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যার ফলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ২৮০০ ডলারের বেশিতে উন্নীত করতে পেরেছেন শেখ হাসিনা, আজকের বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের দেশ। দেশের এই অর্থনৈতিক অগ্রগতির ফলেই আজকে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে টেকসই ও মানসম্মত অবকাঠামো নির্মাণ বিষয়টি প্রাসঙ্গিকভাবে আলোচনা করছি উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, একটি দেশের উন্নয়নে অবকাঠামোগত স্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা এক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা রাখেন। তিনি আরো বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা তাদের অর্জিত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেরা যে রকম সমৃদ্ধ হবেন তেমনি বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়াররাও সমৃদ্ধ হবেন বলে আমার বিশ্বাস।
সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরেটাস ড. আইনুন নিশাত, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মোঃ মাসুদ। এতে মূলবক্তা ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অভ্ ক্যান্টারবেরির প্রফেসর গ্রেগরি ম্যাকরে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: