
নিউজ ডেস্ক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা কিন্তু বর্তমানের মতো ছিল না। ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় আর কোনো শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা ছিল না। ১৯৯৬ সালে যখন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন তখন এই মাদ্রাসার ছাত্ররা পাস করে এরকম শিক্ষক হতে পারতো না। তারা তখন মসজিদের ইমাম হতো, কিংবা হাফেজ হতো, কিংবা মোয়াজ্জেম হতো বা এতিমখানার দায়িত্ব নিতো। ১৯৯৬ সালে তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় সাধারণ শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল দিনাজপুরের বিরলের ভান্ডারা ইউনিয়নের ভাড়াডাঙ্গী দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার নবনির্মিত চারতলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় সাধারণ শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার কারণে আজকে মাদ্রাসার ছাত্ররা প্রকৌশলী হতে পারছে, চিকিৎসক হতে পারছে, সরকারি কর্মকর্তা হতে পারছে, স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হতে পারছে, তাদের জন্য সমগ্র পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়, শুধু শেখ হাসিনার একটি সিদ্ধান্তের কারণে। বাংলাদেশের ইতিহাসে, মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ইতিহাসে, এ ধরনের ভবন অতীতের কোনো সরকার করেনি, করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সাধারণ শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করায় আজ এর সুফল ভোগ করছে মাদ্রাসার সকলে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি শ্রেণি ইসলামের কথা বলে, কিন্তু ইসলামের কোনো পরিচর্যা করে নাই, ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার কোনো সার্টিফিকেট দেয় নাই। তারা ধর্মের কথা বলে, ইসলামের কথা বলে, কিন্তু ইসলামের কোনো দায়িত্ব পালন করে নাই। তিনি বলেন, একমাত্র ইসলাম যদি কেউ রক্ষা করতে পারে, তাহলে তা শেখ হাসিনাই পারে।
মাদ্রাসার সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশদি এর সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ আফছানা কাওছার, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শাহীনূর ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী ফিতা কেটে ও ফলক উন্মোচন করে ভবনটির উদ্বোধন করেন এবং সকালে বিরল উপজেলা ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: