• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কিশোরগঞ্জে প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৩০ পিএম
ডিজিটাল ডিভাইসকে হাতের নাগালে আনার পাশাপ
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি

নিউজ ডেস্ক:   কিশোরগঞ্জে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নুর এবং কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, সরকার কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-শিক্ষক, মেহনতি জনতা, বাংলার মাটি ও মানুষকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে একসাথে সংযুক্ত করতে পেরেছে। শহর ও গ্রামে এখন ডিজিটাল বিভাজন কমে এসেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে দেশে গড়ে উঠেছে ডিজিটাল অর্থনীতি। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা।  

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশের মাত্র ৮ লাখ মানুষ ইন্টারনেট সেবা পেতো। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটিরও বেশি। এসময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারির সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণেরও বেশি। ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের মূল্য হ্রাস হয়েছে; অবকাঠামো উন্নয়ন, ডিজিটাল ডিভাইসকে হাতের নাগালে আনার পাশাপশি সকল সরকারি সেবা মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দেওয়া হয়েছে। জনগণ এখন ঘরে বসেই দুই শতাধিক নাগরিক সেবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাচ্ছে।

তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে সাবলম্বী করার ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দেশে সাড়ে ছয় লক্ষ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার আছে। এ খাতে অসংখ্য তরুণের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়েছে। তবে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় পুরুষের পাশাপশি নারীরাও যেনো সমান তালে এগিয়ে যেতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে।

অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করতে চাই। আমরা আশা করছি আগামী দেড় বছরের মধ্যে এই আইটি ট্রেনিং সেন্টারের নির্মাণ শেষ হয়ে যাবে এবং দুই বছরের মধ্যে এখানে আমরা কার্যক্রম শুরু করব। এখান থেকে প্রতি বছর এক হাজার তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে।

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ জানান, কিশোরগঞ্জ ছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় আরো ১০টি জেলায় (মানিকগঞ্জ, ভোলা, সিরাজগঞ্জ, বান্দরবান, কুষ্টিয়া, জয়পুরহাট, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, দিনাজপুর ও মেহেরপুর) শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ সেনাবহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১১টি জেলায় প্রায় ৭৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. শামীম আলম, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদসহ বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image