
মোঃ জহিরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: গত ৯ আগষ্ট থেকে দেশের চট্টগ্রাম-সিলেটের ১৬৭টি চা বাগানের শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দেয়। দীর্ঘ ১২ দিন আন্দোলনের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ১৪৫ টাকা মজুরি ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ডা. মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি।
শনিবার (২০ আগষ্ট) দুপুর ১২ টায় শ্রীমঙ্গল শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে শ্রমিক নেতা, শ্রম অধিদপ্তরের মহা পরিচালক, স্থানীয় সাংসদ সদস্য মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকসহ বৈঠক অনুষ্ঠিত্ হয়েছে।
এসময় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক নৃপেন পাল জানিয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীয় শেখ হাসিনার আশ্বাসে ১৪৫ টাকা মজুরি আমরা মেনে নিয়ে আপাতত ধর্মঘট প্রত্যাহার করছি ।
আরও বলেন, তিনি বিদেশ থেকে আসার পরে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করতে চাই । আমরা আশা করি তিনি আমাদের মজুরি বিষয়ে বিবেচনা করবেন।
১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা মজুরির দাবীতে রাজপথে নামে শ্রমিকরা। এর আগে শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিক সাথে শ্রম অধিদপ্তরের মহা পরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী এনডিসি বৈঠক করেন, তারপরে ঢাকাতে তিনি চা শ্রমিক নেতা ও বাগান মালিক পক্ষের সাথে বৈঠক করেন। দুই দফায় বৈঠকেও কোন সমঝোতা হয়নি।
ঢাকায় চা বাগান মালিকের পক্ষ থেকে ১২০ থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৪০ টাকা করার প্রস্তাব দিলে শ্রমিক নেতারা মানেননি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার আশ্বাসে ১৪৫ টাকায় মেনে নেয় শ্রমিক নেতা নৃপেল। কিন্ত সাধারণ শ্রমিকরা ১৪৫ টাকায় না মেনে রাস্তায় মিছিল বের করে। তারা ৩০০ টাকা মজুরির দাবীর পক্ষে। তারা কাজে ফিরবে না বলে জানিয়েছে। ১২০ টাকা থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়েছে মালিক পক্ষ, মোট মজুরি দাঁড়ায় ১৪৫ টাকা তারা ১৫ টাকা বাড়ানোর পক্ষে না তাই এমন মজুরি প্রত্যাহার করেছে।
এমন সংবাদ শোনার পরে ১৪৫ টাকায় মজুরি মানতে রাজি না হয়ে সাধারন শ্রমিকদের একটি অংশ রাস্তায় নেমে পড়ে। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন, উত্তাল চা শ্রমিকরা।
এর আগে সকাল ১১ টায় শ্রীমঙ্গল সাতগাঁও লছনা চা বাগানের শ্রমিকরা নাট মন্দির মহাসড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ ও র্যালী বের করেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: