• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০১ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ইউ, পি সদস্যা কাকলী রানী এখন কসমেট্রিকস ব্যাবসায়ী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:১৫ এএম
এখন কসমেট্রিকস ব্যাবসায়ী
ইউ, পি সদস্যা কাকলী রানী

বিজয় কর রতন, মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ):  কাকলী রানী সরকার একজন গৃহিনী ও জনপ্রতিনিধি। স্বামী প্রয়াত নিতিশ চৌধুরী (৪৮) পেশায় একজন স্বর্ণকার ছিল। বিগত দেড় বছর পূর্বে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। তাদের নিত্য চৌধুরী নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বর্তমানে সে মিঠামইন কলেজে পড়াশোনা করছে।কাকলী রানী মিঠামইন উপজেলার ৪ নং ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের দুইবারের মহিলা সদস্যা।একই পরিবারের তার দেবর গণেশ চৌধুরী (৪৪) সেও গত ৬ মাস পূর্বে একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। তার ১ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে।

এ পরিবারের বর্তমানে উপার্জন করার মত কেনো পুরুষ নেই। দুটি পরিবার একএে বসবাস করছে।ঘরে রয়েছে বৃদ্ধ শ্বাশুড়ি মায়া রানী চৌধুরী (৬৮) তিনিও অসুস্থ। প্রতিদিন ২ শতাধিক টাকার ঔষধ কিনতে হয় শ্বাশুরীর জন্য। মায়া রানী এক সময় পরিবার পরিকল্পনা অফিসে চাকরি করতেন।তিনি অবসরে যাওয়ার পর যে টাকা পয়সা পেয়েছেন।তা দিয়ে কিছু জায়গা জমি কিনলেও এ নিয়ে বর্তমানে মামলা মুকদ্দমা চলছে।সংসারের হাল ধরছেন ইউ,পি সদস্যা কাকলী রানী সরকার।

তিনি জীবিকার তাগিদে ১০ সদস্যের পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। বর্তমানে নিরুপায় হয়ে ঘাগড়া বাজারে মাছ মহালের পাশে একটি কসমেটিক দোকান নিয়ে বসেছেন। কোনো রকম ধার দেনা করে পুঁজি এনে দোকান সাজিয়েছেন।এই দোকানের উপর বর্তমানে ১০ সদস্যের পরিবারটি নির্ভর করছে। এ দোকানে বর্তমানে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বিক্রি হয়।যেদিন বিক্রি কম হয়।সেদিন পুঁজি  থেকে খরচ করতে হয়।সংসার খুব কষ্ট করে চালাতে হচ্ছে। সকালে দোকানে বসে রাত ৯ টা পর্যন্ত ব্যাবসা করে এছাড়াও মাঝে মাঝে পরিষদের কাজও করতে হয় দোকান বন্ধ করে। বর্তমানে যে বাড়িতে বসবাস করছেন সেটাও নিজের নয়।নিজের জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে।কাকলী রানীর এলাকাতে রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। ঘাগড়া বাজারের মাছ মহালের নিকটে কাকলী রানীর দোকানে গিয়ে তার সাথে কথা হয়,তিনি বলেন,তিনি একজন ইউ,পি সদস্যা। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর দেড় বছরের মধ্যে তার দেবরও মারা যান।সংসারে হাল ধরার কেউ নেই। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে টিকে রয়েছি।ছেলের পড়াশোনার খরচ দেবরের ছেলে মেয়ের পড়াশোনার খরচ সবকিছুই আমাকে দেখতে হয়।

সকালে ঘুম থেকে উঠে গৃহস্থালির কাজ শেষ করে ঠাকুরের পূজা দিয়ে ঘর থেকে বাহির হয়ে দোকানে আসি।কোনো কোনো দিন দুপুরেও খাওয়া হয় দোকানে। বেছা বিক্রি তেমন একটা হয় না।একা একা সব কিছু সামলে নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না।দোকানের জিনিস পএ আনতে জেলা সদর কিশোরগঞ্জে যেতে হয় দোকান বন্ধ করে। সামনে কোরবানির ঈদ তাই পুঁজির অভাবে মালামাল আনতে পারছি না।কিন্তু দৈনন্দিন সংসারের খরচ তো আর থেমে নেই।বিক্রি না হলেও চাল,ডাল তো কিনতে হবেই।অন্যের নিকট থেকে পুঁজির টাকা নিতে গেলে সুদ দিতে হবে। ব্যাবসাই করমু কি এর উপর আবার সুদের টাকা দিমু কই থেকে সব মিলিয়ে খুব কষ্টে এ পরিবারটিকে আগলে রেখেছি।তিনি আরও বলেন,উপজেলার ৭ ইউনিয়নের মধ্যে তিনিই একমাএ মহিলা সদস্যা  যিনি জীবিকার তাগিদে ব্যাবসা করছেন।তিনি সরকারের নিকট অনুদানের প্রার্থনা করছেন।তিনি বিও বানদের  এগিয়ে আসার আহ্বান  ও জানান। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image