• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

মিঠামইনে কোরবানির পশুর হাটে দেশী গরুর আমদানি বেশি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:১২ পিএম
মিঠামইনে
কোরবানির পশুর হাটে দেশী গরুর আমদানি বেশি

বিজয় কর রতন, মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ): মিঠামইন উপজেলার ৭, ইউনিয়নে মোট  ৩টি পশুর হাট রয়েছে। এসকল পশুর হাটে কোরবানি ঈদ উপলক্ষে প্রচুর পরিমাণে দেশী গরু আমদানি হলেও বাজারে ক্রেতার ভীড় খুব কম।

বিগত বছর বন্যার কারণে গো-খাদ্যের তীব্র সংকটে অধিকাংশ কৃষক খুব কম মূল্যে গরু, মহিষ বিক্রি করে ফেলেছে। পাইকারগণ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঐসময় বন্যার অযুহাত ও গো- খাদ্য সংকটের কারণে কৃষকদের নিকট থেকে অর্ধেক মূল্যে গরু,মহিষ কিনে নিয়েছে।

এসকল গরু মহিষ পাইকাররা উঁচু জায়গায় খোলা মাঠে অস্হায়ী গোয়ালা তৈরি করে সারা বছর লালন পালন করে এবার চড়া মূল্যে বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে আসে। 

এবছর হাওরে ধানে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ায়, বামপার পলন থেকে বঞ্চিত অনেক কৃষক। গ্রামে অর্থনীতি অবস্থা খুবই নাজুক।

কৃষকরা দেশী গরু বাজারে নিয়ে আসলেও কাংখিত মূল্য পাচ্ছে না।প্রতিটি হাট থেকেই গরু মহিষ সহ কাংখিত মূল্য না পেয়ে ফেরত নিয় চলে যাচ্ছে। এক শ্রেণীর অবৈধ নামধারী পশু ডাক্তার পরিচয়ে গ্রামে গরুকে ইনজেকশানের মাধ্যমে মোটাতাজা করে ও বীজ সরবরাহ করার কারণে অনেক গরু শারীরিক দূর্বল হয়ে পড়ে।এসকল গরু দেখতে মোটা হলেও ভিতরে ইনফেকশন হয়ে পড়েছে। ক্রেতারা মোটাতাজা গরু চড়া মূল্যে ক্রয় করে ঠকছেন বলে অনেকেই জানান।ঐ এসকল গরু জবাইয়ের পর ভিতরে ইনফেকশন ও হওয়ার খবর পাওয়া গিয়াছে। 

তাই ক্রেতারা খুব সাবধানে গরু ক্রয় করছেন।ঘাগড়া গরুর হাটের পাইকার ফুল মিয়া ও নান্দাইল এলাকার পাইকার সুলতান মিয়া জানান, দেশী গরু আমদানি বেশি থাকায় কৃষকরা মূল্য ছাড়ছে না।তারা বিগত বছরের বন্যার কারণে কম মূল্যে গরু মহিষ বিক্রি করায় এবছর হাটে তা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।এ বছর হাওরে পানি নেই।গরু লালন পালন করতে বাড়তি কোনো খরচ নেই।সমস্ত হাওরে ধানের চারা থেকে গজানো ডিমি ও ঘাস প্রচুর রয়েছে। 

মিঠামইনের ঘাগড়া বাজারে ২২ই জুন বৃহস্পতিবার ১ টি গরু সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে,অপর একটি গরু১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ক্রেতা বললেও বিক্রেতা ১ লক্ষ ৫০, হাজার টাকার কমে বিক্রি করবে না বলে জানিয়ে দেন।একই হাটে একটি মহিষ বিক্রি হচ্ছে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। একই বাজারের অপর পাইকার মুক্তার মিয়া জানান,মিঠামইন ও ঘাগড়া বাজারে পশুর আমদানি প্রচুর কিন্তু ক্রেতা সংখ্যা কম।

ঘাগড়া বাজারের পশুর হাটে ২৫ শতাংশ ক্রেতা মহিলারা রয়েছেন।সালমা নামের একজন মহিলা কোরবানির জন্য গরু কিনতে আসেন তিনি বলেন তার স্বামী প্রবাসে রয়েছে তাই তিনি নিজেই হাটে আসছেন পছন্দের গরু কিনতে। তিনি যে গরুটি পছন্দ করেছেন বিক্রেতা তার মূল্য ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বলেছেন। তিনি ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়েছেন।তিনি বলেন,গরু কিনতে না পারলে ২ টি খাসি নিয়ে যামু।

গত বছরের তুলনায় গরুর মূল্য বেশি ভারতীয় গরু এসকল এলাকায় আসলে মূল্য কিছুটা কমত  অপর বিক্রেতা আবদুল হেলিম বলেন,বাজারে শুধু মাএ দেশি গরুতে সয়লাভ হয়ে গেছে। মধ্যবৃত্তরা কিনতে না পেরে খাসি ভেড়ার দিকে ঝুঁকছে। গরুর মহিষের সাথে পাল্লা দিয়ে অন্যান্য পশুর দামও বাড়ছে।

মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বলেন,পার্শ্ববর্তী কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের তৈলিখাই একটি গরুর বাজার ছিল দীর্ঘ ৫০ বছর বাজারটি চালু থাকলেও প্রায় ১ যুগ যাবৎ বন্ধ রয়েছে। অবশেষে ঘাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান  হিসাবে তিনি নতুন একটি পশুর হাট স্থাপন করেন। সপ্তাহে  প্রতি বৃহস্পতিবার। 

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রচুর পরিমাণে গরুর আমদানি হয়েছে এ হাটে।হাটের ইজারাদার বাবু মিয়া, ফজলু মিয়া ও কাউছার মিয়া জানান, ঈদের পূর্বে একটি বিশেষ হাট বসানোর চিন্তা রয়েছে। খাজনার পরিমাণ নাম মাএ নেওয়া হয়েছে। ক্রেতা বিক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে তিনি সারা বছরের জন্য এ পদক্ষেপ নেন। চেয়ারম্যান আরও জানান,অন্যান্য বাজারে এক থেকে দের হাজার টাকা পর্যন্ত হাসিল দিতে হয়। কিন্তু ঘাগড়া বাজারে মাএ ৩শত টাকা।পাশাপাশি পাইকারদের থাকা-খাওয়ার বাবস্থা রয়েছে। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image