• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

একাত্তরের বিষাদ সিন্ধু: অনিন্দ্য অনন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:৩৪ পিএম
সক্রিয়তায় নিবেদিত রাখবেন, এই প্রত্যাশা করি।
একাত্তরের বিষাদ সিন্ধু গ্রন্থের প্রচ্ছদ

আফরোজা পারভীন


গ্রন্থের নাম: একাত্তরের বিষাদ সিন্ধু । গ্রন্থকারের নাম: রফিকুল ইসলাম । গ্রন্থের প্রকৃতি: গণ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ উপজীব্য উপন্যাস । প্রথম প্রকাশঃ বইমেলা ২০২২ । স্বত্ব: লেখক । প্রচ্ছদ: সজীব ওয়ার্সি । প্রকাশক: ইসমাইল হোসেন বকুল। এশিয়া পাবলিকেশন্স, ৩৬/৭ বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০। মুদ্রণ: শাহরিয়ার প্রিন্টার্স পাটুয়াটুলি লেন, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০ । অনলাইন পরিবেশক: রকমারী, বইফেরী, বইবাজার, দূরবীণ, হক বুকসপ। কলকাতা পরিবেশক: নিউ লেখা প্রকাশনী ।
মূল্য: ৩৫০ টাকা ।

শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মোহাম্মদ আরজ আলীসহ স্বাধিকার ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল সংগ্রামী ও শহীদদের প্রতি উৎসর্গীকৃত গ্রন্থ “একাত্তরের বিষাদ সিন্ধু”। আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত সাহিত্য বিশেষত কথাসাহিত্য প্রত্যাশার তুলনায় অপ্রতুল। খ্যাতিমান বরেণ্য ঔপন্যাসিক, কথাসাহিত্যিকেরা এ বিষয়ে যথোচিত নিবেদন, একাগ্রতা, নিষ্ঠায় সৃজন প্রয়াস চালিয়েছেন কিনা এ প্রশ্ন উত্থাপন খুব একটা অসঙ্গত হবে না। নিশ্চিতভাবেই বেশ কয়েকজন লিখেছেন-উপন্যাস, ছোটগল্প ।  কবিতার ক্ষেত্রে কাজের ব্যাপ্তি অনেক বেশি। চলচ্চিত্র, নাটক ও ডকুমেন্টারী নির্মিত হয়েছে হাতে গনা কয়েকটি । মহান মুক্তিযুদ্ধের পশ্চাৎভূমিতে বিভিন্ন গণআন্দোলনের প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ এবং সুদূরপ্রসারী ভূমিকা নিয়েও মানসম্মত লেখা সমৃদ্ধ করেছে বাংলা সাহিত্যাঙ্গন। জীবনচিত্র এবং সমসাময়িকতা ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধ এবং এর পূর্বাপর বাস্তবানুগ, সত্যনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত কিছু কথাসাহিত্য অবশ্যই নির্মিত হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের পূর্বেকার দেশজ বাস্তব প্রেক্ষিত, পটভূমি এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন বাস্তবতার প্রেক্ষিতের বিশাল ক্যানভাসে নির্মাণ করেছেন তাঁর উপন্যাস “একাত্তরের বিষাদ সিন্ধু”। উপন্যাসের সময় পরিধি অতি দীর্ঘকালের না হলেও একটি সময়কালের ঘটনাপুঞ্জ । একটি সময়কালের তুচ্ছাতিতুচ্ছ ঘটনা এবং পরম্পরাগত প্রতিক্রিয়া এবং তারও প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিত উপস্থাপন করতে গিয়ে লেখক প্রসঙ্গক্রমে কেবল বাংলাদেশ ভূখন্ড নয়, কাহিনির শাখা প্রশাখার বিস্তার ঘটিয়েছেন উপমহাদেশ  এবং কখনোবা বৈশ্বিক পরিসরে। অনিবার্যভাবেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে জনজীবনের সম্পৃক্তির প্রামাণিক আখ্যান হিসেবেও এই উপন্যাস দালিলিক ভূমিকা পালন করতে পারে।

উপন্যাসের কাহিনীর অন্যতম প্রধান এবং কেন্দ্রীয় চরিত্র অধ্যাপক অমর আলি। বীর মুক্তিযোদ্ধা অমর আলী  মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাৎ বরণের মধ্য দিয়ে অমর হয়ে আছেন।
অথচ নবতর প্রজন্ম তাঁর সম্পর্কে অবহিত নয় । প্রবীণদের যে ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ এখনো জীবিত, তাদের স্মৃতিও ক্রমেই ধূসরতায় পরিম্লান। 

নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুরের সুসঙ্গ মহাবিদ্যালয় মাঠে “৭১ এর গণহত্যা: ভুলি নাই ভুলব না” অনুষ্ঠান এবং মঞ্চনাটক “ বিজয়গাথা অমর আলি সব বাউলের একতারাতে” মঞ্চায়ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপন্যাসের যাত্রা শুরু।  গ্রামীণ এক সাধারণ পরিবারের বালকের বেড়ে ওঠার ক্রমপর্যায়, পাঠানুশীলন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়, বাঁক বদল উপন্যাসটিতে সাবলীল সুন্দর বর্ণনে উঠে এসেছে।

পিতৃবিয়োগের পরেও অগ্রজের নিবেদিত সহযোগিতা এবং পিতৃসুলভ অভিভাবকত্বে সেই বালকের বেড়ে ওঠা, প্রান্তিক সকল পরিস্থিতিতেও সফল উত্তরণ। অনিবার্যভাবে বিপরীতচিত্র, অমানুষি আচরণ, বৈপরীত্ব এবং নেতিবাচকতাও উঠে এসেছে  জীবন পরিমন্ডলের বাস্তবতায়। উপন্যাসের প্রাক-পটভূমি, ঘটমানতার বাস্তব উপস্থাপনে অনিবার্যভাবেই দেশজ বাস্তব পরিস্থিতি উঠে  এসেছে। কখনো পশ্চাৎ-প্রক্ষেপে নিকট অথবা দূরবর্তী অতীতকেও কাহিনি সংযুক্ত করতে হয়েছে।

সঙ্গতভাবেই এই উপন্যাস পাঠে অনুসন্ধিৎসু পাঠক, পরাধীন ভারতবর্ষের আংশিক চিত্র যেমন অবলোকন করবেন, তেমনই আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন এবং এর পটভূমিক্রম বাস্তবায়নে বিষয়েও অবহিত হবেন। তদানীন্তন পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা, পূর্ব-পশ্চিমের অনৈতিক, অগ্রহণীয় বৈষম্য, ঔপনিবেশিক চরিত্রের আধিপত্যবাদী আচরণ এবং ভাষা-শৃঙ্খলে অবরূদ্ধকরণের প্রয়াসের বিষয়েও অবহিত হবেন। রাজনীতির ক্রম অগ্রসরমাণতায় জাতীয় নেতৃবৃন্দের ভূমিকা, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি, উদীয়মান প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান’এর  উত্থান-ক্রম সম্পর্কেও পাঠক জানতে পারবেন।

নেত্রকোণার নিভৃত গ্রামের অমর আলি’র অধ্যাপক অমর আলি হয়ে ওঠা, জনমানুষের সাথে সম্পৃক্তি, সরাসরি সক্রিয় রাজনৈতিক সংশ্লেষে না থেকেও রাজনীতির ঘটনাপুঞ্জের সাথে একাত্ম হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি উত্তাল স্বদেশের রাজনৈতিক দোলাচল, অস্থিরতা, জনাকীর্ণ সভাস্থল, রাজপথ, ঘরে ঘরে আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলে উঠবার বাস্তবতাও উপন্যাসে সফলভাবে তুলে এনেছেন।

উপন্যাসটিতে তাই ’৫২ ভাষা  আন্দোলন, ’৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, মোট ৩০৯ টি আসনের মাঝে যুক্তফ্রন্টের ৩০০টি আসনেই জয়লাভ, শেরে বাংলার নেতৃত্বে সরকার গঠন, মাত্র ৩৪ বছর বয়সে শেখ মুজিবুর রহমান ‘এর কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বলাভ, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ বিশ্বস্ততার সাথে প্রতিফলিত হয়েছে। অমর আলী কৈশোরে ভাষা আন্দোলনের সাফল্যে যেভাবে আন্দোলিত হন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের মহাবিজয়ে বাঙালি জাতীয়বাদের উন্মেষে তাঁর ভেতরে অপরিসীম ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যাদের সাহচর্যে  এসেছেন অথবা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ সকলের মাঝ থেকেই তিনি আহরণ করেছেন দেশপ্রেমের মহান মন্ত্র। ’৬২ তে শিক্ষা অধিকার রক্ষায় অমর আলী সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হন শিক্ষা আন্দোলনে। ‘৬৪’তে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধে গড়ে তোলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং দাঙ্গা প্রতিরোধ কমিটি। এভাবেই জনসম্পৃক্ত হতে থাকেন । ছয়দফা আন্দোলনে সক্রিয় অবদান রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবস্থায়, ১৯৬৬ সালে। সেই ধারা অব্যাহত রাখেন কলেজ শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পরও। অধ্যাপক অমর আলী অধ্যাপনার দায়িত্বে থেকেও জনজীবনের সাথে নিবিড় সম্পর্কে নিজেকে জড়িত রাখেন। তিনি ১৯৬৯ মহান গণঅভ্যুত্থানে নিজ এলাকার অবিসংবাদী সংগ্রামী নেতা। শিক্ষা আন্দোলনের পাশাপাশি জাতীয় রাজনৈতিক  অস্থিরতার সাথে ক্রমেই সংহত ঐকান্তিকতায় নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন।

উপ্যাসের ঘটনাপ্রবাহে অসংখ্য চরিত্র এসেছে। ছাত্রাবস্থায় বাল্যবন্ধু, কলেজ জীবনের সতীর্থ , শিক্ষক, জনব্রতী মানুষ, চারপাশের ইতি-নেতি মানসের মানুষেরা  অনিবার্যভাবেই এসেছেন। তবে উপন্যাসের মৌল ঘটনাপ্রবাহ আবর্তিত হয়েছে অমর আলীকে কেন্দ্র করেই। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণে প্রভূত অবদান রাখা, ধৃত হওয়া, শত প্রলোভন এবং নির্যাতনের মুখেও অটল থেকেও দেশপ্রেমী সত্তা অক্ষুণ্ন রেখে শহিদী মৃত্যুবরণের মধ্য দিয়ে অত্যুজ্জ্বল এক দেশব্রতী, মানবব্রতী মানুষ হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকা।

গ্রামীণ বিদ্যালয় জারিয়া-ঝাঞ্জাইল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন উত্তীর্ণ অমর আলী’র  নেত্রকোণা কলেজে অধ্যয়নের উদ্দেশ্যে জায়গীর থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া এবং একসময় বৃত্তি সুবিধাসহ ছাত্রাবাসে থাকার সুযোগ লাভ, সন্তোষজনক ফলাফল, শিক্ষক ও সুধীজনের আশাবাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের উদ্দেশ্যে যাত্রা কাহিনির  ঋদ্ধ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে  দেশের সার্বিক অবস্থা অধিকতর স্পষ্টরূপে প্রতিভাত হতে থাকে তাঁর কাছে। ছাত্র নেতৃবৃন্দের, নিজেও সম্পৃক্তির পূর্ণতায় নিজেকে আবিষ্কার করেন একজন পূর্ণ আলোকিত দেশপ্রেমী, সচেতন, প্রতিবাদী মানুষ হিসেবে।  জনসচেতনতায় নিজের ভেতরে কখন যে তিনি নিজেই এক অগ্নিস্ফুলিঙ্গ হয়ে উঠেছেন, নিজেই হয়তো তা উপলব্ধি করতে পারেননি ।

ছয় দফার প্রবাহে বাংলাদেশ উন্মাতাল। এগারো দফায় বারুদ আগুন। অমর আলী বৃহত্তর জনজীবনের সাথে একাত্মতায়। প্রতিবাদে, দ্রোহে, সংগ্রামে এক জীবনযোদ্ধা । সংহতির প্রবলতায় অটল হিমালয়ের মত অতন্দ্র তিনি। প্রাক- মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতায় অপরাজেয় আস্থায় বলীয়ান হয় এলাকার দেশপ্রেমীরা। একপর্যায়ে ধৃত হন তিনি। অমানুষিক অত্যাচার ও বর্বরতার সীমা অতিক্রমণের পর দেশব্রতী এই মহান মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপককে হত্যা করা হয় পাশবিক নির্যাতনের মাধ্যমে।

উপন্যাসের কাহিনি বিস্তারে অসংখ্য চরিত্র উঠে এসেছে। গ্রামীণ পরিচিত সাধারণজন, স্বজন, প্রতিবেশী, হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে অগণন জনতা, হোসেনপুরের শিক্ষার্থী, শিক্ষক,  অভিভাবক সুধীজন কাহিনিতে এসেছেন প্রাসঙ্গিকতায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন বরেণ্য ছাত্র নেতৃবৃন্দ, জাতীয় নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য অনেকেই এসেছেন প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষেও। গণ আন্দোলন ও গণ বিস্ফোরণের অমিততেজা নেতৃবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্টরা এসেছেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সহযোদ্ধা ও দেশপ্রেমী মানুষেরা যেমন এসেছেন, তেমনই দেশদ্রোহী রাজাকার অপমানব এবং পাক বাহিনীর কর্মকর্তা-দস্যরাও নিজ নিজ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।  তবে এই একই চিত্র বাংলাদেশের সর্বত্রই কমবেশি বাস্তবতার প্রতিফলন।

সত্যনিষ্ঠতায় বাস্তবানুগতার অনুবর্তী হয়ে উপন্যাসের ঘটনাপ্রবাহের বিস্তার ঘটিয়েছেন। উপন্যাসটির আখ্যান এবং সামগ্রিক অধ্যয়নে পাঠক অবহিত হবেন এই ভূখন্ডের রাজনৈতিক ক্রম বিবর্তন, আবহমানকাল ধরে এতদঞ্চলে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি,  স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের  ক্রমপর্যায়, ’৬২, ’৬৪, ’৬৬, ’৬৯ এর গণআন্দোলন, ছয় দফা সম্পর্কিত বিস্তারিত, ১১ দফা,’ ৭০ এর নির্বাচন । 

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ক্রম, বঙ্গবন্ধুর নিবেদিত অবদান, অন্যান্য দেশব্রতী নেতৃবৃন্দের অবদান সম্পর্কেও পাঠক জানবেন। আমাদের জনযুদ্ধের স্বরূপ, গতি-প্রকৃতি,  দেশপ্রেমীদের ভূমিকা, দেশদ্রোহীদের বীভৎস পাশবিকতার বিষয়াবলীও পরিস্ফূট হবে। পাঠক সংহত, একাত্ম হবেন উপন্যাসের সাথে। নিজেকেও একাত্মতায় অনুভব করবেন উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র হিসেব।

উপন্যাসটি কিঞ্চিৎ বৃহৎ কলেবরের। এক মলাটে লেখক মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে যা বর্ণনা উপস্থাপন করতে চেয়েছেন, তাতে তিনি সফল হয়েছেন। তবে কখনো কখনো কিছুটা ভারাক্রান্ত বর্ণনার আতিশয্য রয়েছে। সচেতন প্রয়াসে তা হয়তো পরিহার করা যেতো। তবে সামগ্রিকভাবে এটি একটি সফল সুন্দর উপন্যাস। গ্রন্থের প্রকাশনার মান ভালো। প্রচ্ছদ যথাযথ। আমি গ্রন্থটির সাফল্য ও পাঠকপ্রিয়তা কামনা করি। 

জীবনমুখী লেখায় লেখক রফিকুল ইসলাম নিজেকে সক্রিয়তায় নিবেদিত রাখবেন, এই প্রত্যাশা করি।

ঢাকাঃ এপ্রিল ২০, ২০২২

লেখক: গবেষক ও সম্পাদক

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image