
নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন সরকার সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘোষিত ফলাফলে ১৪ পদের সবক’টিতে জয় পেয়েছেন সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা। অবশ্য আগেই বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের নীল প্যানেল এ নির্বাচন বর্জন করে।
বিজয়ীরা হলেন সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোমতাজউদ্দিন ফকির, সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুন নুর দুলাল, সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী আজম ও জেসমিন সুলতানা, কোষাধ্যক্ষ মাসুদ আলম চৌধুরী, সহসম্পাদক নুরে আলম উজ্জ্বল ও হারুনুর রশিদ, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সাফায়েত হোসেন সজীব, মহিউদ্দিন রুদ্র, শফিক রায়হান শাওন, সুভাষ চন্দ্র দাস, নাজমুল হোসেন স্বপন, দেলোয়ার হোসেন ও মনিরুজ্জামান রানা।
দিনভর উত্তেজনা, ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি মিছিল এবং ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন শেষ হয়। রাতে শাহবাগ থানায় বিএনপিপন্থি ৩৫০ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
অবশ্য ভোট শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগেও সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা দফায় দফায় মিছিল ও স্লোগান দেন। দুপুর ১২টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত দু’পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়, হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এসবের প্রভাবে নির্বাচনে ভোট পড়েছে অর্ধেকেরও কম। ৮ হাজার ৬০২ ভোটারের মধ্যে দুই দিনে ভোট দিয়েছেন ৪ হাজার ১৩৭ জন।
এদিকে, উচ্চ আদালতে পুলিশের কয়েক সদস্যের বাড়াবাড়ির ঘটনা ভালোভাবে নেননি বাহিনীর নীতিনির্ধারকরা। অতি উৎসাহী হয়ে কেন পুলিশ সদস্যদের কেউ কেউ সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়েছে– তা তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িত সদস্যদের চিহ্নিত করতে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে দুই কনস্টেবলকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাঁরা ঘটনার সময় মারমুখী আচরণ করেন। এ ছাড়া ল রিপোর্টার্স ফোরামের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের হেনস্তার জন্য রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদকে দায়ী করা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: