নিউজ ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার দুই আসামি মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (৫৫) এবং জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত ১০টা ১ মিনিটে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে এই দুই আসনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
রায় কার্যকর করার আগে কারা মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম আসামিদের গোসল ও তওবা পড়ান। ফাঁসির রায় কার্যকর করতে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে ৮ জন জল্লাদকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাতের মধ্যেই পুলিশের দুটি টিম নিরাপত্তা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে দুজনের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেবে।
রাত ৯টার দিকে ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি দুই আসামিকে জানানো হয়েছে। ফাঁসি কার্যকরের সময় কারাগারের ডিআইজি প্রিজন, সিনিয়র জেল সুপার ও জেলার ছাড়াও জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন, মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাসা থেকে নিখোঁজ হন। ৩ ফেব্রুয়ারি বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভী আহমেদ ওই দিন নগরীর মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, এরপর ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন। পরে দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও আসামি নাজমুল আলম ও তাঁর স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন। তবে, আপিলে সাজা কমে যাবজ্জীবন হওয়া দুই আসামির দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায়ই বহাল রাখেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: