আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে পুতিন প্রশাসন আগামী বছর প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগে মোট বাজেটের ৩০ শতাংশ ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে। এতে আগামী বছরও যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এরই মধ্যে নতুন প্রজন্মের অস্ত্র উৎপাদনের কথা জানিয়েছে রাশিয়া।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম স্ট্যান্ডার্ড ইউকে জানায়, ২০২৩ সালের খসড়া বাজেটে 'প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগের' জন্য ১শ ৪৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে পুতিন প্রশাসন।
আগামী বছরও চলমান যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যুদ্ধের ব্যয় বাড়াতে গিয়ে অন্যান্য খাত সামলাতে হিমশিম খাবে রাশিয়া। এতে দেশটির ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ বাড়বে। এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এরই মধ্যে নতুন প্রজন্মের অস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর কথা জানিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, নতুন প্রজন্মের শক্তিশালী অস্ত্র তার দেশকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ার মতো শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করবে।
যুদ্ধচলাকালীন রাশিয়া কোন কোন শক্তিশালী অস্ত্রের উৎপাদন কী পরিমাণ বাড়িয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি মেদভেদেভ। এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও নতুন ধরনের অস্ত্র উৎপাদনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এর মধ্যে হাইপারসনিক অস্ত্রও রয়েছে।
এদিকে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মেলিতোপোলে রাশিয়ার সামরিক অবস্থানে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ও রোববার (১১ ডিসেম্বর) হিমার্স রকেট লঞ্চার দিয়ে শহরটিতে রুশ সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে জেলেনস্কিবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় বলে দাবি করে মস্কো। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়।
বার্তা সংস্থা সিএনএন জানায়, চলতি বছর মার্চে জাপোরিজঝিয়ার পার্শ্ববর্তী শহর মেলিতোপোল দখল করে শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলে রুশ বাহিনী।
ওডেসায় গেল কয়েকদিনের অব্যাহত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওডেসাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় কাজে ফিরেছেন কর্মীরা। এমনটাই জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: