
নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তামিম ইকবাল দায়িত্ব ছাড়ার পর ওডিআই ফরম্যাটে দ্বিতীয় দফায় টাইগারদের দায়িত্ব পেলেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
শুক্রবার (১১ আগষ্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সাকিবকে আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়ক ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, আসন্ন এশিয়া কাপ এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপে টাইগারদের নেতৃত্ব দিবেন সাকিব।
চলতি মাসের শুরুতে বিসিবি সভাপতি পাপনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ওয়ানডে দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তামিম ইকবাল। একই সঙ্গে এশিয়া কাপে না খেলারও সিদ্ধান্ত জানান তিনি।
গত ৩ আগস্ট দায়িত্ব ছাড়েন তামিম। তার নেতৃত্ব ছাড়ার সপ্তাহ খানেক পরেই নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করল বিসিবি। অধিনায়ক হওয়ার দৌঁড়ে মেহেদী মিরাজ ও লিটন দাসকে নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত সাকিবেই আস্থা রেখেছে দেশের ক্রিকেট বোর্ড।
এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফী বিন মোত্তর্জার সহ-অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। প্রথম টেস্টে মাশরাফী ইনজুরিতে পড়ায় সাকিবকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়। সেবারই ছিল নেতা সাকিবের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করায় পরের সিরিজেই তাকে ভারমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দেয় বিসিবি।
প্রথম দফায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রায় দুই বছর। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় এই অলরাউন্ডারকে। এর ৬ বছর পর ২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলে টি-২০ ফরম্যাট দিয়ে আবারো নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব।
একই বছরে মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সাদা পোশাকের অধিনায়কের দায়িত্বও পান সাকিব। এরপর ২০১৯ সালে আইসিসি কর্তৃক নিষেধাজ্ঞায় পড়ে দ্বিতীয় দফায় নেতৃত্ব হারান তিনি।
এরপর ২০২২ সালের জুনে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আবারো দলের নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। মাস কয়কে পরেই টি-২০ ফরম্যাটে নেতৃত্ব ফিরে পান তিনি। এবার পেলেন ওয়ানডের অধিনায়কত্ব। তাতে প্রায় এক যুগ পর আবারো তিন ফরম্যাটে সাকিবের নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: