• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি আতঙ্কে নিম্নাঞ্চলের মানুষ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৪৫ পিএম
সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি আতঙ্কে নিম্নাঞ্চলের মানুষ
সোমেশ্বরী নদী

দুর্গাপুর প্রতিনিধি, নেত্রকোনা: টানা দুই দিনে অতিবৃষ্টি ও সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে কুল্লাগড়া, গাঁওকান্দিয়া ও সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর ইউনিয়নের প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ।

সোমবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও তা এখনো ও বিপদসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রাতে আরো পানি বৃদ্ধি পেলে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ সময় নদীতে থাকা বালু উত্তোলনকারী কিছু ড্রেজার ভেসে গেছে, উজান থেকে পানি নামতে থাকলে অন্যান্য এলাকার নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর, মাছের ঘের, ফসলের মাঠ সহ সবজি বাগান গুলো তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পানি বৃদ্ধির ফলে আতঙ্কে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ। নদীর পাড় ভাঙ্গা অব্যাহত থাকায়, কুল্লাগড়া, কামারখালী, ইসলামপুর, বিজয়পুর, ভবনীপুর, দাহাপাড়া, বন্ধউষান এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। অপরদিকে টানা বৃষ্টির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের বেড়েছে ভোগান্তি। রিকশা ও ঠেলাগাড়ী চালানো সহ খেটে খাওয়া মানুষদের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে পড়েছে একেবারেই। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নিম্নাঞ্চল গুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক কর্মচারী মাইকেল প্রদীপ বাউল বলেন, সোমেশ্বরী নদীর ধরনটাই এই রকম। তবে নদীতে যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে যদি রাতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে তাহলে এলাকা প্লাবিত হয়ে আগাম বন্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন, সোমেশ্বরী নদীর পানির বিপদ সীমার স্কেল হচ্ছে ১২.৬৫। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ১১.৩৩ অব্যাহত রয়েছে। রাতে বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী পানি বাড়তে থাকলে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ইতোমধ্যে এলাকা পরিদর্শন করে সকল কে সাবধান করা হয়েছে।  

এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীর-উল-আহসান বলেন, পানি বৃদ্ধির খবর পেয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। এলাকায় বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোন প্রকার খাদ্য সমস্যা দেখা দিলে, তা মোকাবেলার জন্য প্রস্তত রয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / সাহাদাত হোসেন কাজল/কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image