• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৭ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

জলঢাকায় আখের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষক খুশি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ০৩ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৩৬ পিএম
জলঢাকায়
আখের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষক খুশি

মোঃমশিয়ার রহমান, জলঢাকা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ এ যেন এক আখের রাজ্য। সবুজ পাতার নিচে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে সোনালি ও সাদা রং এর আখ। অল্পপুজি ও বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। আখের বাম্পার ফলন হওয়ায় একদিকে যেমন কৃষক খুশি। তেমনি মিষ্টি আখের মিষ্টি হাসি ফুটেছে আখ চাষিদের মুখে। এতে করে এবার সাফল্যের মুখ দেখছে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার আখ চাষীরা। আখের বাম্পার ফলন হওয়ায় অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা। এতে করে দিন দিন উপজেলায় আখ চাষ বেড়েই চলছে। এমনি চিত্র ফুটে উঠেছে উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিন্যাকুড়ী গ্রামে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছে আখ কাটতে। সারি সারি ভ্যান দাড়িয়ে আছে এ আখ নিয়ে যাওয়ার জন্য। এখান থেকে আখ স্থানীয় বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে নিয়ে যায়। এছাড়া পার্শ্ববর্তী উপজেলার অনেক পাইকাররা আসেন এখানে আখ কিনতে।এবিষয়ে কথা হয় আখ কিনতে আসা পার্শ্ববর্তী ডিমলা উপজেলার ৬নং নাওতারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা মোঃ মিজানুর রহমান এর সাথে।

তিনি বলেন আমি ৫ থেকে ৬ বছর আখ ব্যবসার সাথে জরিত। প্রতি বছর এখান থেকে আখ ক্রয় করে থাকি। আজও প্রায় ১শত ৫০ পিচ আখ ক্রয় করেছি। এখানকার আখ খুব মিষ্টি ও সুস্বাদু এখানকার আখ বিক্রি করতে আমাদের কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। কৈমারী ইউনিয়নের ভিন্না কুড়ি ২নং ওয়ার্ড এর আখ চাষি মোঃ আলমগীর (২৪) এর সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় প্রথম আমি আল্প পরিসরে আখের চারা রোপণ করি। এ বছর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমি ৭ বিঘা জমিতে ঈশ্বরদী ও ফিলিপাইন জাতের আখের চারা রোপণ করি। আখের চারা রোপণের কয়েক মাস পর তা বিক্রির উপযোগী হয়। এছাড়া আখ চাষের মধ্যেই সাথী ফসল হিসেবে আলু-৭ ও স্কোয়াস চাষ করেছিলাম। বর্তমানে এ দুই ফসলে আমার খরচের সব টাকা উঠে এসেছে।

বর্তমানে আখ আমার বোনাস ফসল। আখের বাম্পার ফলন হয়েছ। ৭ বিঘা জমিতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার আখ বিক্রি করার স্বপ্ন দেখছি। এছাড়া এ গ্রামে বর্তমানে ১০০ পরিবার এ আখ চাষের সাথে জড়িত আছে।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বেলে ও দোআঁশ মাটি আখ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে আখের ফলন পাওয়া যায়। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে আমারা কৃষকদের সব সময় পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে থাকি। যারা উপজেলায় আখ চাষ করেছে তাদের সাথী ফসল হিসেবে আখ চাষের মধ্যে অন্যান্য ফসল রোপন করার পরমর্শ দিয়েছি।এতে আখ চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। আখ উঁচু ও নিচু জমিতেও চাষ করা যায়।

আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে আশানুরূপ ফলন ও বাজারে বেশ চাহিদা থাকায় দিন দিন আখ চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। আখের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে, সরিষা, বাদাম, মিষ্টি কুমড়া, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, স্কোয়াশ ইত্যাদি চাষ করা যায়।এবিষয়ে জলঢাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ এ প্রতিবেদক কে জানান, উপজেলায় এবছর আখের আবাদ হয়েছে ১৬ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে চাষিরা যেন তাদের ফসল বাঁচাতে পারে সে জন্য যথাসময়ে কৃষি অফিসের মাধ্যমে সঠিক পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image