• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

শিল্পকলায় জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব শুরু


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:০৭ এএম
শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় 'কলিম শরাফী
জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব

নিউজ ডেস্ক:  শীতের বিকেল গোধূলি লগ্নে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের অমিয় ধারা উপভোগ করতে শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তন দর্শকে টইটুম্বুর। শহরের নানা প্রান্ত থেকে সংস্কৃতিমনা লোকজন জড়ো হয়েছেন রবীন্দ্রসংগীতের সুরে অবগাহন করতে। তাদের নিরাশ করেননি প্রথিতযশা শিল্পীরাও। মুগ্ধ হয়ে শ্রোতারা শুনেছেন গান; চোখে-মুখে তৃপ্তি নিয়ে রাতে ফিরেছেন বাড়ি।

তিন দিনের জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবের চলতি আসরের শিরোনাম- 'যাক অবসাদ বিষাদ কালো, দীপালিকায় জ্বালো আলো'। গতকাল শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমিতে গানের সুরে শ্রোতাদের মনের সব অবসাদ-বিষাদ মুহূর্তেই যেন উড়ে গেছে। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর প্রদীপ প্রজ্বালন করে উৎসবের উদ্বোধন করেন অতিথিসহ আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা কর্তারা। তখন সম্মিলিত কণ্ঠের সুর ছড়িয়ে পড়ে পুরো মিলনায়তনে- 'আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে'।

উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি। সংস্থার সভাপতি সাজেদ আকবরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব খ. ম. হারুন। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন। তিন দিনের এ উৎসবে রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন পর্বের গান পরিবেশন করবেন দেশের প্রখ্যাত শিল্পীরা।

সিমিন হোসেন রিমি বলেন, 'রবীন্দ্রনাথ আমাদের প্রাণের মানুষ। দুঃখের মাঝে অনুপ্রেরণা। তাঁর লেখনী অসীম শক্তিমান, যা উচ্চারণে মানুষ জেগে ওঠে এবং বাঁচার প্রেরণা পায়। এভাবেই কবিগুরু আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নিরন্তরভাবে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। সংকট থেকে জাগরণে পথের দিশা হয়ে ধরা দিচ্ছেন।'

উদ্বোধন আসরে সংগীত পরিবেশন করেন ফারজানা তাবাসসুম, মীরা মণ্ডল, সঞ্চিতা রাখী, আতিয়া ফারজানা মিতা, মতিউর রহমান, ইন্দ্রানী মোদক প্রমুখ। উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার দেওয়া হবে রবীন্দ্রসংগীত বিশেষজ্ঞ 'কলিম শরাফী' পুরস্কার।

গত ২০ জানুয়ারি শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় 'কলিম শরাফী' স্মৃতি পুরস্কারের জন্য রবীন্দ্রসংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সারাদেশের ১১০ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। কিশোর ও সাধারণ- এ দুই বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কিশোর বিভাগে দু'জনকে প্রথম, তিনজনকে দ্বিতীয় ও চারজনকে তৃতীয় নির্বাচিত করা হয়। সাধারণ বিভাগে একজনকে প্রথম, দু'জনকে দ্বিতীয় এবং তিনজনকে তৃতীয় নির্বাচিত করা হয়। আগামীকাল রোববার একই মিলনায়তনে পর্দা নামবে তিন দিনের এ উৎসবের।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image