নিউজ ডেস্ক : শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের সহধর্মিণী বরেণ্য লেখক, অধ্যাপক পান্না কায়সার মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। পান্না কায়সারের মৃত্যু মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পান্না কায়সারের জন্ম ১৯৫০ সালের ২৫ মে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর করা এবং শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে। স্বাধীনতা সংগ্রামের উত্তাল সময়কালে শহীদুল্লাহ কায়সারের হাত ধরে শুরু করে তার প্রায় সাড়ে চার দশকের পথচলা আধুনিক সাহিত্যের সঙ্গে, বাঙালি সংস্কৃতি আর প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে।
শহীদুল্লাহ কায়সারকে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনী। তিনি আর ফেরেননি। এরপর থেকে পান্না কায়সার একা হাতে মানুষ করেছেন তার দুই সন্তান অভিনেত্রী শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে।
পান্না কায়সার সংসার জীবনের পাশাপাশি দায়িত্ব নিয়েছেন লাখো কোটি শিশু-কিশোরকে সোনার মানুষে পরিণত করার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত দেশের বৃহত্তম শিশু-কিশোর সংগঠন 'খেলাঘর' এর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন ১৯৭৩ সালে। তিনি ১৯৯২ সাল থেকে সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতিও ছিলেন তিনি।
জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের ১৯৯৬-২০০১ সালের সংসদ সদস্য ছিলেন পান্না কায়সার। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা, গল্প-উপন্যাস মিলিয়ে বেশ কয়েকটি সাড়া জাগানো গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। পান্না কায়সার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদানের জন্য ২০২১ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: