নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে আরও একটি রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব হয়েছে। দলটির নাম ‘ফরওয়ার্ড’। বুধবার (২৭ জুলাই) দলটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠাতাদের বেশির ভাগই প্রধান দুই রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক সদস্য।
দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর আগামী নির্বাচনে তাদের দলকে ভোট দিতে লাখো-কোটি মার্কিন নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিদলীয় রাজনীতিকে অকার্যকর ও সেকেলে অভিহিত করে তারা বলেন, দুই দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাজনীতিতে জনগণ হতাশ।
দুই দলের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি হয়ে ওঠার প্রত্যাশাও জানান ‘ফরওয়ার্ড’ নেতারা। দলটি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে আধিপত্য করে আসা রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির কার্যকর বিকল্প হয়ে উঠবে বলে আশা এর প্রতিষ্ঠাতাদের।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী অ্যান্ড্রু ইয়াং ও নিউজার্সির সাবেক রিপাবলিকান গভর্নর ক্রিস্টিন টড হুইটম্যান ফরওয়ার্ড যৌথভাবে দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রধানত দ্বিদলীয়। দল দুটি যথাক্রমে রিপাবলিকান পার্টি ও ডেমোক্রেটিক পার্টি। এর মধ্যে ডেমোক্রেটিক বর্তমানে রাষ্ট্রক্ষমতায়। দেশটির অন্যান্য দলকে সাধারণত ‘থার্ড পার্টিস’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এমন আরও কয়েকটি দল রয়েছে। এর মধ্যে গ্রিন পার্টি, লিবারট্যারিয়ান্স, কনস্টিটিউশন পার্টি ও ন্যাচারাল ল পার্টি উল্লেখযোগ্য।
নবগঠিত ফরোয়ার্ড পার্টির নেতারা খুব শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে দলের প্রচার-প্রচারণা শুরু করবেন। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর হিউস্টনে দলটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে এবং গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান শহরে দলের প্রথম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
নতুন দল গঠনের পেছনের অনুপ্রেরণা হিসেবে গত বছর গ্যালাপের করা এক জরিপের কথা উল্লেখ করেন নেতারা। জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষই তৃতীয় আরেকটি দল দরকার বলে মনে করে।
এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ২০২১ সালে গঠিত রিনিউ আমেরিকান মুভমেন্টও রয়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান, জর্জ এইচ ডব্লিউ. বুশ, জর্জ ডব্লিউ. বুশ ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান প্রশাসনের কয়েক ডজন সাবেক কর্মকর্তা এ গোষ্ঠীটির প্রতিষ্ঠাতা।
ফরোয়ার্ড পার্টির প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ড্রু ইয়াং ২০২১ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টি ছেড়ে স্বতন্ত্র রাজনীতি শুরু করেন। নতুন দলে যোগ দেয়া অপর গোষ্ঠীটি হলো ডেমোক্রেটিক, রিপাবলিকান ও স্বতন্ত্রদের নিয়ে গঠিত সার্ভ আমেরিকান মুভমেন্ট, যার প্রধান ছিলেন সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ডেভিড জলি।
নবগঠিত দলটি ‘মধ্যপন্থি’ বলে অভিহিত করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে দলটির নেতারা এখনো কোনো নীতি নির্ধারণ করেননি। তবে নেতারা বলছেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র যে সমস্যাগুলোর মোকাবিলা করছে, সেগুলোর সমাধানে ‘না বাম, না ডান’ নীতিতেই সামনের দিকে অগ্রসর হবেন তারা।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: