• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বাঞ্ছারামপুর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে  আত্মসাতের অভিযোগ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৪৫ পিএম
অধ্যক্ষের আত্মসাতের অভিযোগ
বাঞ্ছারামপুর সোবানিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রুহুল আমিন

মনিরুজ্জামান মনির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে সোবানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও হিসাব রক্ষকের এক ব্যক্তির কাছ থেকে নেওয়া ছয় লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে । এই ঘটনায় ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ ও হিসাবরক্ষকের  বিরুদ্ধে থানায় এটি লিখিত  অভিযোগ দায়ের  করেছে। 

অভিযোগ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শাহিন মিয়ার কাছ থেকে জমির ব্যবসা করার কথা বলে এক বছর আগে ৬ লক্ষ টাকা নেয় বাঞ্ছারামপুর সোবানিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রুহুল আমিন ও হিসাবরক্ষক তার আত্বীয় বাহারুল ইসলাম। এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও টাকা ফেরত না দিয়ে গত কিছুদিন আগে বাহারুল ইসলাম এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। 

ভুক্তভোগী গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অধ্যক্ষ রুহুল আমিনের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায় ও মারতে তেরে আসে এবং এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।  এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহিন মিয়া গত বৃহস্পতিবার রাতে মডেল থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন অধ্যক্ষ রুহুল আমিন ও হিসাবরক্ষক বাহারুলের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী শাহীন মিয়া জানান, আমি এই মাদ্রাসার ছাত্র হওয়ায় রুহুল আমিন হুজুরের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল সেই সুবাদে উনি আমাকে জমির ব্যবসা করে লাভ হবে বলে আমাকে নানা ভাবে বুঝিয়ে আমার কাছ থেকে ছয় লক্ষ টাকা নেয়।  

এক বছর পেরিয়ে গেলেও লাভ কিংবা মূল টাকা আমাকে ফেরত দিচ্ছে না উল্টো আমাকে টাকা ফেরত চাইলে  গালমন্দ করে এবং এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এই ঘটনা আমি থানায় একটি অভিযোগ  করেছি দুইজনের বিরুদ্ধে। এই দুইজন বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকার মত টাকা নিয়েছেন।

বাঞ্ছারামপুর সোবানিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রুহুল আমিন জানান, আমি কোন টাকা নেইনি বাহারুল টাকা নিয়েছে। আমি তার সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করিনি, সে আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম জানান, এক ব্যক্তির কাছ থেকে সদর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল রুহুল আমিন ও হিসাবরক্ষক বাহারুল  টাকা নিয়ে না দেওয়ার একটি অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image