নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে তা আজ রোববার জানা যাবে। অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা দেশটির সংসদে। শনিবার ইমরান খান তার কার্যালয়ে কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন।
অনাস্থা ভোটের ফলাফল মেনে নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, ‘পুরো প্রক্রিয়াটিই যেখানে কলঙ্কিত সেখানে আমি কীভাবে ওই ফল মেনে নেব? নৈতিক কর্তৃত্বের বলে গণতন্ত্র পরিচালিত হয়-এই চক্রান্তের পর সেই নৈতিক কর্তৃত্ব কী আর অবশিষ্ট থাকে? আমাকে উৎখাত করার এই ষড়যন্ত্র পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ।’
এদিকে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে মরিয়া ইমরান শনিবার রাতে টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে তরুণ প্রজন্মকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ঘোষণার পরই রাস্তায় অবস্থান নেন তেহরিক ই ইনসাফের শতাধিক কর্মী।
গত মাসে ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির ২০ জন এমপি পদত্যাগ করলে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তার দল। যার ওপর ভিত্তি করে গত ২৮ মার্চ বিরোধী দলের নেতা শাহবাজ শরীফ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সেদিনই স্বল্প সময়ের অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর অধিবেশন ৩১ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছিল।
৩১ মার্চ ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কের জন্য অধিবেশন শুরুও হয়। কিন্তু বিরোধীদের হট্টগোলে কয়েক মিনিট পরই অধিবেশন ফের রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মুলতবি করেন ডেপুটি স্পিকার কাশেম সুরি।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: