নুরনবী সরকার, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রেমিক যুগলকে বিয়ে দেয়া নামে প্রতারনা করার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন লালমনিরহাট পৌর মেয়র রেজাউল করিম স্বপন।
কাউন্সিলরের ক্ষমতার প্রভাবে এক মেয়ের সাথে বিয়ের নামে প্রতারনা করার অভিযোগ উঠে লালমনিরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর আজিজুর রহমান তুহিনের বিরুদ্ধে। অভিযোগটি সরেজমিনে তদন্ত করে দাখিল করা প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে দাবি করেন লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন।
জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম এলাকার আহম্মদ হোসেনের ছেলে ওবায়দুল ইসলাম তারই প্রতিবেশী জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এক পর্যয়ে তারা রংপর নোটারী পাবলিকে বিয়ে করেন। সেই বিয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রী করার জন্য জান্নাতুল ফেরদৌস তার পুর্ব পরিচিত লালমনিরহাটের পৌর কাউন্সিলর আজিজুর রহমান তুহিনের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে তার দেয়া পরামর্শ মোতাবেক জান্নাতুল ফেদৌস ও ওবায়দুল গত ৩ আগস্ট চলে আসেন লালমনিরহাটে। পরে কাউন্সিলর তুহিন তাদেরকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
অবশেষে বিয়ে দেয়ার নাম করে ওই দিন সন্ধ্যায় তাদেরকে শহরের মাঝপাড়া এলাকায় নিকাহ রেজিস্টার আমির হামজার অফিসে নিয়ে যান। সেখানে বিয়ের ফরম নিয়ে নিজেই বর কনের তথ্য পুরন করে তাদের স্বাক্ষর নেন কাউন্সিলর তুহিন। এরপর ছেলের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বিয়ের সকল কাগজপত্র নষ্ট করে কাউন্সিলর তুহিন মেয়েটিকে জোরপুর্বক রংপুরে মেয়েটির বোনের বাসায় রেখে পালিয়ে যায় বলে বাদির অভিযোগ।
পরদিন থেকে কাউন্সিলরের সাথে এবং তার প্রেমিকের সাথে যোগাযোগ করেও কোন সুফল পাননি জান্নাতুল ফেরদৌস। বিয়ে হলেও নেই কোন বৈধ্য কাগজপত্র। প্রেমিক ওবায়দুলও বন্ধ করেন যোগাযোগ। অবশেষে ন্যায় বিচার পেতে কাউন্সিলর আজিজুর রহমান তুহিনের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট পৌর মেয়র বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগটি আমলে নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে টাকা লেনদেন ও প্রতারনার সত্যতা পেয়েছেন উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন মেয়র রেজাউল করিম স্বপন।
এ দিকে একই দাবিতে গত ১৯ আগস্ট কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রতারনা ও অশোভন আচরনের ন্যায় বিচার চেয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারীত প্রেমিকা জান্নাতুল ফেরদৌস।
কাউন্সিলর আজিজুর রহমান তুহিন টাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মানুষের উপকার করতে গেলে নিজের ক্ষতি হয়। আমার যত ক্ষতি হোক ওই মেয়েটির আমি উপকার করবই। তাদের বিয়ের বৈধতা দিতে সকল কাজ করা হবে।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ওমর ফারুক জানান, অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: