
নিউজ ডেস্ক: হরতালের প্রথম দিন রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে পৌনে আটটা থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজধানীর ফার্মগেট, আসাদগেট, কল্যাণপুর, আগারগাঁও, মিরপুর রোড, গাবতলী, মিরপুর, পল্লবী, কালশী, মৌচাক, মালিবাগ, মগবাজার ও খিলক্ষেতে যান চলাচল কম ছিল।
এসব সড়কে স্বল্প সংখ্যক প্রাইভেটকার চলতে দেখা গেছে। কিছু বাস চলাচল করলেও তাতে যাত্রীর উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। এ প্রসঙ্গে পথচারী পল্লব আচার্য বলেন, ‘আসাদগেট ও ফার্মগেট এলাকায় বাসের চেয়ে তুলনামূলক প্রাইভেটকারের সংখ্যা একটু বেশি। কিছু বাস চলতে দেখা গেলেও তাতে যাত্রীর উপস্থিতি কম ছিল।’
মগবাজারের বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাসে যেতে ভয় করে। কখন যে আগুন দেয়! কিন্তু অফিসে যেতেই হয়। বাসের জন্য আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও আসেনি।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ ও মৌচাক এলাকায় মোড়ে মোড়ে নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।
এদিকে রাজধানীর অন্যান্য সড়কের তুলনায় কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে বাসের সংখ্যা সীমিত ছিল। এ প্রসঙ্গে আরেক পথচারী স্বপ্না বেগম বলেন, ‘কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর বাস পেয়েছি। হরতাল থাকায় অফিসে আসার সময় ভোগান্তি হয়েছে।’
কালশী রোডে সরেজমিনে কয়েক শ’ দিনমজুরকে কাজের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ইত্তেফাক অনলাইনকে রুহুল কবির নামের একজন বলেন, ‘গত ৭-৮ দিন ধরে কাজ পাচ্ছি না। আজকেও পাবো না। দুই মাস ধরে এমনিতেই কাজ কম। হরতাল ও অবরোধের কারণে কাজ আরও কমে গেছে। এর মধ্যে আমরা কেউ কাজ করছি’
হরতালের প্রভাবে রাজধানী ছাড়াও দূরপাল্লার বাস চলাচলও সীমিত ছিল। সরেজমিনে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল ফাঁকা দেখা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরিবহন কর্মকর্তা জানান, ‘সকাল থেকে এখনও দূরপাল্লার কোনো বাস ঢাকা ছেড়ে যায়নি।’
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: