
ষ্টাফ রিপোর্টার: সত্যেন সেনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর দেখানো পথে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ, মৌলবাদমুক্ত, শোষণহীন, সাম্যবাদী সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আজীবন লড়াই-সংগ্রাম চালানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। উদীচী’র প্রতিষ্ঠাতা শিল্পী-সংগ্রামী-সাহিত্যিক-সাংবাদিক-কৃষক নেতা সত্যেন সেনের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২৮ মার্চ মঙ্গলবার বিকালে উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদীচী নেতারা এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সত্যেন সেনের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই সত্যেন সেনের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর সমবেতভাবে সত্যেন সেন রচিত “আগুন নিভাইবো কে রে” গানটি গেয়ে শোনান উদীচীর শিল্পীরা। এরপর উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান-এর সভাপতিত্বে শুরু হয় আলোচনা সভা। এ পর্বে আলোচনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি প্রবীর সরদার, নিবাস দে, সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, সহ-সাধারণ সঙ্গীতা ইমাম এবং সদস্য নাজমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯০৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করা সত্যেন সেন আজীবন সত্য, সুন্দর, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছেন। ছাত্রজীবন থেকেই নানা ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি। বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে ছিল তাঁর সরব উপস্থিতি।
এছাড়াও, কৃষক আন্দোলনেরও অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন সত্যেন সেন। একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ, মৌলবাদমুক্ত, সাম্যবাদী সমাজ গঠনের লক্ষ্যে ১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর সত্যেন সেন ও রণেশ দাশগুপ্তসহ বেশ কয়েকজন প্রগতিশীল মুক্ত চিন্তার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। বহু বছরের লড়াই-সংগ্রাম ও ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ গণসাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উদীচী।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে যখন বাংলা ও এই ভ‚খণ্ডের আবহমান সংস্কৃতির উপর নতুন করে আঘাত এসেছে, যখন ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি গোষ্ঠী রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে, তখন সত্যেন সেনের আদর্শ আমাদের সঠিক পথ দেখাবে। আর তাই, সত্যেন সেনের দেখানো পথে একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ, মৌলবাদমুক্ত, সাম্যবাদী সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আজীবন লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাবে উদীচী।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: