নিউজ ডেস্ক : বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশীয় ও চিরায়ত চিকিৎসা ব্যবস্থা আমাদের জাতীয় সম্পদ। কিন্তু সঠিক তত্ত্বাবধায়নের অভাবে তা বিকশিত হতে পারেনি। এজন্য সরকারের গভীর পৃষ্ঠপোষকতা অতীব প্রয়োজন। গতকাল (শনিবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে প্রাচীন চিকিৎসা উন্নয়ন প্রচেষ্টা (প্রাচি) এর জাতীয় নির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অভিষেক অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও দার্শনিক ড আনিসুজ্জামান বলেন- দেশজ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা ব্যবস্থা আমাদের অহংকারের বিষয় এবং তা চিকিৎসা শাস্ত্রের মূল দর্শনকে ধারণ করে। এই চিকিৎসা শাস্ত্রের চিকিৎসকদের মানব সেবাকে ব্রত করে এগিয়ে যেতে হবে। বর্তমান অরাজক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ইউনানী ও আয়ুর্বেদ মানুষের মাঝে আস্থার একটি স্থান তৈরী করতে পারলে প্রাচি’র এই কার্যক্রম স্বার্থক হবে।
অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, ইউনানী ও আয়ুর্বেদের সঠিক পরিচর্যা হলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে অভাবনীয় পরিবর্তনের সূচনা হবে। সেই সাথে চিকিৎসার খরচ কমে আসবে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রারও সাশ্রয় ঘটবে। এজন্য তারা প্রতি জেলায় একটি করে ইউনানী ও আয়ুর্বেদ কলেজ স্থাপন, নার্সিং ইন্সটিটিউট এবং হাসপাতাল স্থাপনে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। একই সাথে ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের দক্ষতা ও সক্ষমতাও সময়োপোযোগী করে তুলতে হবে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাচি এর স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য- মোখলেছুর রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি কবিরাজ সালেহ মুহাম্মদ আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাকীম কামরুজ্জামান ও কবিরাজ আব্দুল মোতালেব মতিন প্রমূখ।
দেশজ ও চিরায়ত চিকিৎসা শিক্ষা এবং চিকিৎসকদের জীবনমান উন্নয়নে নিবেদিত জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘প্রাচি’ এর জাতীয় নির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাচি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান, কবিরাজ রীতা মজুমদার প্রমুখ।
প্রাচি (জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন) দেশজ ও চিরায়ত চিকিৎসার মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে। সংস্থাটি ৫ জুলাইকে জাতীয় আয়ুর্বেদ ও ইউনানী দিবস ঘোষণার দাবী জানায়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: