
নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপােরেশনের( বিসিক) অধীন ২১টি শিল্পনগরে ১ হাজার ৯৮টি শিল্প প্লট খালি রয়েছে । আগ্রহী বেসরকারি উদ্যোক্তারা এসব প্লট বরাদ্দ নিতে পারবেন । এজন্য বিসিকের সংশ্লিষ্ট জেলা অথবা শিল্পনগরী কার্যালয়ে যোগাযোগ করে বিধি মোতাবেক আবেদন করতে হবে । আবেদনের নিয়মাবলি স্থানীয় শিল্পনগরী কার্যালয়ে অথবা বিসিকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে । সম্প্রতি বিসিকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে ।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সবচেয়ে বেশি প্লট খালি রয়েছে মুন্সীগঞ্জ, রাজশাহী- ২ ও গোপালগঞ্জ( সম্প্রসারণ) শিল্পনগরীতে । এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ বৈদ্যুতিক পণ্য উৎপাদন ও হালকা প্রকৌশল শিল্পনগরীতে ৩৬২টি, রাজশাহী- ২ শিল্পনগরীতে ২৪৪টি এবং গোপালগঞ্জ শিল্পনগরীতে ১০৯টি প্লট খালি রয়েছে । এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের ভৈরব শিল্পনগরীতে ৮৯টি, মুন্সীগঞ্জ এপিআই শিল্পপার্কে ১টি, নরসিংদী( সম্প্রসারণ) শিল্পনগরীতে ১০টি, মাদারীপুর( সম্প্রসারণ) শিল্পনগরীতে ২৯টি, নোয়াখালীতে ৮টি, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৬৮টি, মৌলভীবাজারে ২টি, রাঙামাটিতে ২টি, সুনামগঞ্জে ৩৬টি, খাগড়াছড়িতে ১৩টি, পাবনায় ১টি, পটুয়াখালীতে ১টি, মেহেরপুরে ২টি, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে ৬টি, ঝালকাঠিতে ৫টি, বরগুনায় ৪৮টি, ভোলায় ৪টি এবং চুয়াডাঙ্গায় ৫৮টি শিল্প প্লট খালি আছে ।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার তারিখ হতে ৪৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে । বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে গত ১৫ অক্টোবর । প্লটের মূল্য এককালীন অথবা ৫ বছরে ১০ কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে । তবে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় প্লটের জমির মোট মূল্যের ২০ শতাংশ পে- অর্ডার বা ডিডি( সংশ্লিষ্ট শিল্পনগরী কার্যালয়ের অনুকূলে) আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে । প্রতি বর্গফুটের সর্বনিম্ন দাম পড়বে ৯৯ টাকা থেকে ২ হাজার ১০৪ টাকার মধ্যে । বরাদ্দযোগ্য খালি শিল্প প্লটের সংখ্যা কম বা বেশি হতে পারে । আগ্রহী প্রকৃত শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে প্লট বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে । আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জমা দিতে হবে ।
বিসিক এ পর্যন্ত ৮২টি শিল্পনগর বাস্তবায়ন করেছে । এসব শিল্পনগরীতে ১২ হাজার ৩১৩টি প্লট রয়েছে । এরমধ্যে ১১ হাজার ১৯টি শিল্প প্লট ৬ হাজার ১৮টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে । বর্তমানে এসব শিল্পনগরীতে ৪ হাজার ৫৩৩টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান পুরোদমে চালু রয়েছে ।
বিসিকের নীতিমালা অনুযায়ী, প্লট বরাদ্দ বুঝে পাওয়ার ১৮ মাসের মধ্যে সেখানে কারখানা তৈরি করতে হবে । ১৯৬০ সালে এসএমইদের শিল্পায়নের প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য ইউটিলিটি সেবা ও উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থাসহ বাণিজ্যিক প্লটের উন্নয়ন ও বরাদ্দ দেওয়ার জন্য বিসিকের যাত্রা শুরু হয় ।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: