আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান জানিয়েছেন, ইউক্রেনে কৌশলগত এবং ছোট আকারের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের রুশ হুমকিকে হালকাভাবে নেওয়া যায় না । বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সংস্থাটির পরিচালক উইলিয়াম বার্নস বলেন, তবে ওই হুমকিকে শক্তিশালী করার মতো যথেষ্ট বাস্তব প্রমাণ সিআইএ দেখতে পাচ্ছে না।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর এবারই প্রথমবারের মতো কোনো মার্কিন কর্মকর্তা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকির উদ্বেগের কথা স্বীকার করলেন। তিনি বলেন, ১৯৪৫ সালের পর একটি ইউরোপীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এই হুমকি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়ায়। ২০২১ সালের মার্চ মাসে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্ব নেওয়ার পর সিআইএ প্রধানের এটাই প্রথম জনসাধারণের জন্য বক্তৃতা।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দিমিত্রি মেদভেদেভ ন্যাটো জোটকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড যদি পশ্চিমা সামরিক জোটটিতে যোগ দেয় তাহলে মস্কো কালিনিনগ্রাদে পারমাণবিক অস্ত্র এবং হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে। ইউরোপের মধ্যাঞ্চলে রুশ এলাকা কালিনিনগ্রাদ।
সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস বলেন, ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চল এবং কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিন হতাশায় মরিয়া হয়ে উঠতে পারেন। তিনি বলেন, এ কারণে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র কিংবা কমমাত্রার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি আমরা কেউই হালকাভাবে নিতে পারি না।
ক্রেমলিন পারমাণবিক অস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখার কথা বললেও বার্নস বলেন, আমরা এসব মোতায়েনের কিংবা সেই উদ্বেগ জোরালো করার মতো সামরিক নড়াচড়ার যথেষ্ট বাস্তব প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি না।
কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রগুলোকে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যার মধ্যে কিছু বিশেষজ্ঞ অনুমান করেছেন যে রাশিয়ার প্রায় ২০০০ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে যা বিমান, নৌ এবং স্থলবাহিনী দ্বারা সরবরাহ করা যেতে পারে।
একটি বিস্তৃত ভাষণে, এই প্রাক্তন মার্কিন কূটনীতিক বলেন যে ইউক্রেনে সামরিক হামলার বিষয়ে তথ্য জানতে তারা অনেক আগে থেকেই মার্কিন গুপ্তচর সংস্থাগুলো গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছিল।
বার্নস বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাকে নভেম্বরে মস্কোতে পাঠিয়েছিলেন পুতিন এবং তার বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টার কাছে তার যুদ্ধের পরিকল্পনার বিষয়ে আমাদের উদ্বেগের গভীরতা এবং যদি তারা এগিয়ে যায় তাহলে রাশিয়ার পরিণতি সম্পর্কে জানাতে।
আরেক মন্তব্যে, বার্নস চীনকে একটি শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসেবে অভিহিত করেছেন যা অর্থনৈতিক এবং সামরিক শক্তি থেকে মহাকাশ এবং সাইবারস্পেস পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে চাইছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: