• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ইবিতে সহপাঠীকে মারধরে প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ০৮ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:১৫ পিএম
সহপাঠীকে মারধরে প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি)

আহমাদ গালিব, ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অবতারণিকা উৎসবকে ঘিরে ফের ৩য় বারের মত মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী প্রধান ফটকে বহিরাগতদের দ্বারা অতর্কিত হামলার শিকার হন। 

শনিবার (৬ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মারাধরের ঘটনা ঘটে।

রোববার (৭ মে) প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এসময় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মুশফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের  মোবারক হোসেন আশিক নামক এক  শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। মূলত ব্যাচ ভিত্তিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে  এ ঘটনা ঘটে। রাতে আহত শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলন করে। পরে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, পূর্বে একাধিকবার মারামারির ঘটনা ঘটলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে এখনো তদন্ত সম্পন্ন করতে পারেনি কমিটি।

অভিযোগ পত্র সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাত পৌনে নয়টায় দিকে কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসের বাসে  এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে নামেন। পরে তিনি তার ২-৩ জন বন্ধু নিয়ে ‘শিপন-টি স্টলে’ চা খেতে যান। এসময় অভিযুক্ত মুশফিকসহ ১৫-২০ জন লাঠি সহ দেশীয় কিছু অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। পরে দৌড়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার পরেও তাকে মারধর করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কুষ্টিয়া মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।

লিখিত অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিযুক্তদের সনাক্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। একইসাথে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানান ভুক্তভোগী।

পূর্বে ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মঞ্চে ২০২০ ২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের (প্রজ্বলিত-৩৫) ব্যাচে “অবতরনিকা” উৎসবে টি-শার্ট বিতরণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী  মুশফিকুর রহমানসহ কয়েকজন আহত  আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে মোবারক হোসেন আশিক, তাসিন ইসলাম রাহিম, রাব্বি ফকিরসহ ৩০-৪০ জনকে অতর্কিত হামলার জন্য দায়ী করা হয়। এরই পরিপেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা ধারণা করছে, উক্ত ঘটনার জের ধরে মুশফিকুর রহমান প্রতিশোধ নিতে এমন হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মুশফিকের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, 'ভুক্তভোগী মোবারক হোসেন আশিক আজকে একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন। এর আগেও অবতরণিকা উৎসবের ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যেহেতু ঘটনাটি পূর্বের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সেহেতু উক্ত কমিটিকে এই ঘটনাটি তদন্ত করে করে সাত দিনের মধ্যে সুপারিশসহ রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এরপর আমরা বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিব।'

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image