
ফারজানা মৃদুলা
" অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে,
তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।"
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর এই চরন গুলো মাঝে মাঝে মনে হয় কথাগুলো লেখনির মাঝেই, সীমাবদ্ধ । যেখানে ভুল বা বৈষম্য বা অন্যায় দেখি সেখানে কথা বলার কারণ এটি আমার দেশ। এটি আপনার / আমার / আমাদের গণতন্ত্র।এই সমাজকে রক্ষা করা। আমাদের দায়িত্ব” –প্রতিটি সমাজের নিজস্ব বিচার ব্যবস্থা রয়েছে, যার মাধ্যমে নাগরিকদের ন্যায়বিচার প্রদানের কাজ করা হয়।
এটি যে কোনও সমাজের একটি মৌলিক স্তম্ভ এবং বলা যায় অবশ্যম্ভাবী মূল্য যা আমাদের বজায় রাখার জন্য মন থেকে চেষ্টা করা উচিত। কিন্তু বিবেকবান হিসেবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অধিকারী হলেও অনেক সময় নানা কারণে দিনের পর দিন অন্যায় সহ্য করে যায়।হয়ে থাকে বাকরুদ্ধ। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া অপরাধ দেখে চুপ থাকতে মন সায় দেয় না।
প্রতিবাদ কিংবা প্রতিরোধ করতে গেলেই, যদিও প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন, তবে ১ম কথাই হবে, আপনি কি ভিক্টিম? এই অপরাধ কিংবা প্রতারনা যাই হোক এর কোন ভুক্তভূগি কি আছে আপনার কাছে? এই সকলের উত্তর দিতে দিতেই দিন শেষ!
তখন আপনার মনে হবে, আসলে কি এই সমাজে অপরাধ ঘটতে দেখলে তা বলতে যাবার জায়গাই নেই। কেননা আপনি তো আর ভিক্টিম না।
অথবা যাবেন অন্য কোথাও সহযোগীতার আশায় তখন দেখবেন বলা হবে ইস আরেকটু প্রমান যদি থাকতো...
তখন আপনার মনে হবে আসলে সমাজে অপরাধ মূলক কোন কিছু দেখলে চোখ বুজে থাকুন, নিজেকে অন্ধ ভাবুন।
আবার যখন কোন অপরাধ ঘটতে দেখে সেটাকে বন্ধ করতে আপনি প্রাণপণ চেষ্টা চালাবেন, অনেকে আবার ভাববে এত স্বাদ কেনো নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর! হুম মনে হয় কোন স্বার্থ আছে...
কিন্তু কেবল চুপ করে থাকলে কি কখনো অপরাধ মুক্ত সমাজ পাবো আমরা? নাহ্ বরং অপরাধের তালিকায় নতুন নতুন নাম যুক্ত হবে, আর অপরাধীরা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াবে।
আর ঐ সকল মানুষগুলো ঐ যে নিজের খেয়ে.... তারা কেবল দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলবে,
তারপর ও চাই একটু হলেও সমাজের আবর্জনা দূর হোক।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: