ফারজানা মৃদুলা: মা বাবার আদরের একমাত্র রাজকন্যা, ছোটবেলা থেকে মনে খুব ইচ্ছে হত কখনো কিছু করলে একা নয় মিলিত হয়ে কিছু করবো, হয়ত সেই কারেনই, রুনসুকে সাতোরো সেই কথাগুলো মনে লালন করতেন। আলাদা আলাদা আমরা এক এক বিন্দু, কিন্তু একত্রে আমরা এক সাগর।
এই গল্পের নায়িকার নামটাই এখনো বলা হলো না রওনক সিদ্দিকা এককথায় সহজ মনের অধিকারী, অকপটে বললেন নিজের সেই রন্ধন শিল্পী হয়ে উঠার রহস্য। রান্না নিয়ে কোন আগ্রহ ছিলো না, বা জানাও ছিলো না কিসের সাথে কি মেলাতে হয়।
মজার বিষয় বিয়ের পরও শ্বাশুড়ি মা রান্না ঘরে যুক্ত হতে কোন চাপই প্রয়োগ করেন নি, বরং রওনক ঘর গোছানোর পটু ছিলো তাই ঘর পরিপাটি করা তার নিত্য রুটিন যা কি না মনের আনন্দেই করে চলতো।
বাধ সাধলো ভোজনরসিক জীবনসঙ্গী। নিজের প্রিয়জনকে অবাক করে অসাধারণ পাকা রাধুনি হয়ে গেলো নিজের অজান্তেই। তবে সেই জায়গার গুরু হিসাবে পুরো কৃতিত্ব শ্বাশুড়ি মা কেই দিলেন ।
মানিকগঞ্জের বউ এই গল্পের নায়িকা বিরিয়ানির জগতে নতুন এক নাম সংযোজন করলো সয়া-বিরিয়ানি এবং সেই বিরিয়ানি অদ্ভুত সাড়া ফেলে উদ্দোক্তা জীবনে নাম লিপিবদ্ধ করে নিলো।
কিন্তু সেই যে ছোট বেলার ইচ্ছে একা নয় দশে মিলে কাজ করে এগিয়ে নিবে নিজের সোনার বাংলাদেশকে। মানিকগঞ্জের মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের সেলস সেন্টারের পরিচালনার দায়িত্ব তাকে সেই সুযোগ করে দিলো।
বেশ কিছু নারী উদ্দোক্তােদের একসাথে করে তাদের হাতের তৈরী পন্যগুলো সেই সেলস সেন্টারে রেখে তা বিক্রয়ের জন্য কাজ করে চলছে। এবং এই উদ্যোগের পেছনে কিন্তু কর্মসংস্থানেও ভূমিকা রাখছে তিনি। এই আনন্দ যেন রওনকের মন খানিকটা তৃপ্ত হলো।
এছাড়া এলাকার কুইন্স স্কুলে যে স্কুলে বেশ খানিকটা সময় শিক্ষকতা করে প্রিয়মুখ হয়ে উঠপছিলেন সেই স্কুলে রওনক একটি ক্যান্টিন চালাচ্ছে। সেখানে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের স্বনির্ভর করতে দৃঢ় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে রওনক।
মিষ্টি একটা যৌথ পরিবারের সদস্য এই নায়িকা কোকিল কন্ঠের গায়িকা ও বটে। সেই গানের কন্ঠকে সাধুবাদ জানিয়ে শ্বাশুড়ি মা নিজের হাতে হারমোনিয়াম ও তবলা কিনে দেন। এই কথাগুলো বলতে বলতে মায়াবী হাসির রেশ যেন মুখে লেগে রয়।
বসন্ত যেমন টানে তাকে তেমনি ফাগুনের অষ্টাদশী চাঁদের আলোর মত রওনক চায় তারছোট চেষ্টা যেন মানিকগঞ্জের কিছু সংখ্যাক নারী স্বাবলম্বী হয় দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ভূমিকা রাখে সাথে আলোকিত করে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: