আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাঁচ বছর আগে রাজনীতিতে নবাগত ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ফরাসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজয়ী হন । তিনি বৈশ্বিক রাজনীতিতে একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় বনে যান। ইউরোপীয় ইউনিয়নের হয়ে কঠিন-কঠিন সব সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেছে তাকে। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের শত্রুতা বন্ধেও তিনি জোর চেষ্টা চালান।
রোববার (২৪ এপ্রিল) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ল্য পেনকে হারিয়ে তিনি আরেক মেয়াদে জয়ী হয়েছেন। প্রথমবারের মতো পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয়বার মানুষের আস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হলেন।
হ্যাঁ, এর আগেও দুই প্রেসিডেন্ট এলিসি প্রাসাদে দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরেছিলেন। ১৯৮৮ সালে ফ্রঁসোয়া মিতেরঁ ও ২০০২ সালে জ্যাক শিরাক। কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে বিজয়ী হওয়ার আগে তারা ছিলেন বিরোধী দলে।
দুটো ঘটনার সময়েই মধ্যবর্তী নির্বাচনের কারণে সত্যিকারের সরকার ছিল প্রেসিডেন্টের প্রতিপক্ষের হাতে। যদিও ক্ষমতায় থাকলেও মিতেরঁ ও শিরাক ছিলেন রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশূন্য, যা বিরূপ পরিস্থিতিতেও তাদের জন্য সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। ভোটে জয়ী হতে একটি অনুকূল পরিবেশ খুঁজে পেয়েছিলেন তারা।
আধুনিক ফ্রান্সের ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে জনগণের আস্থা অর্জনে সফল হন ম্যাক্রোঁ। পুরো শাসনকালে ফরাসি পররাষ্ট্র ও অভ্যন্তরীণ নীতির প্রতিটি দিক তার মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে। প্রথম মেয়াদে ৪৪ বছর বয়সী এই ফরাসি রাজনীতিবিদকে অনবরত কূটনৈতিক তৎপরতায় লেগে থাকতে দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিনি নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন।
ফের জয়ী হওয়ার পর ইউক্রেন সংকট মোকাবিলার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে যাবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ম্যাক্রোঁ নিজেকে এমন এক প্রেসিডেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেন, যার আশা-ভরসার স্থল ইউরোপ। তার যুক্তি—বৈশ্বিক মঞ্চে আরও শক্তিশালী হতে ফ্রান্সের পথ হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সরকারের সঙ্গে ফরাসিদের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে একটি অদ্ভুত রীতি দেখা গেছে। প্রথমে হইহুল্লোড় করে নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়ে পরে প্রথম সুযোগেই তাদের ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। সে হিসেবে এ জয় ম্যাক্রোঁর জন্য বড় সফলতা। ফরাসিরা তাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেনি, তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই নির্বাচন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: