আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের শীর্ষ পাম তেল উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া এবার এই সবজি তেলটি নিষিদ্ধের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
এই বেদনাদায়ক সিদ্ধান্তে বিশ্বের খাদ্যপণ্যের মূল্য আরও একদফা বেড়ে যেতে পারে। কেক থেকে শুরু করে প্রসাধনীতে এই তেলটি ব্যাপকহারে ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু রান্নার তেল ও তার কাঁচামাল আটকে দিলে তাতে বিশ্বজুড়ে মোড়কজাত খাবারের দাম ঊর্ধ্বমুখী হবে।
বিশ্বের মোট পাম তেলের অর্ধেকটাই সরবরাহ করে ইন্দোনেশিয়া। এক ঘোষণায় ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেন, তিনি নিজ দেশে খাদ্যপণ্যকে আরও সহজলভ্য করতে চাচ্ছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর বিশ্বজুড়ে খাদ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, এই নীতি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। দেশের বাজারে রান্নার তেল সহজলভ্য করতে হবে। মানুষ যাতে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্যটি কিনতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে চাই।
ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রফতানি নিষিদ্ধ করে দিলে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভোক্তারা তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সোলভ্যান্ট এক্সট্রাকটরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার সভাপতি আতুল চতুর্ভেদী বলেন, তাদের এই উদ্যোগ খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও অপ্রত্যাশিত।
এতে বিকল্প সবজি তেলের দামও বেড়ে যাবে। ২৮ এপ্রিল থেকেই যা কার্যকর হতে যাচ্ছে। পামের পরেই সবজি তেল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে সয়াবিন তেল। কিন্তু এটির দামও আকাশছোঁয়া বাড়ছে।
ইউক্রেন সংকটের পর থেকে বিশ্বের ভোজ্য তেলের বাজারে উত্তাপ শুরু হয়েছে। রাশিয়ার এই অভিযানের ফলে অঞ্চলটি থেকে সূর্যমুখী তেলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। অঞ্চলটি থেকে কৃষ্ণসাগর হয়ে বিশ্বের ৭৬ শতাংশ সূর্যমুখী তেলের রফতানি ও বাণিজ্যিক চালান স্থানান্তরিত হয়ে আসছে। কিন্তু গেল ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনে প্রবেশে করলে তাতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: