• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৪ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বিনা'য় পীড়ন সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবনে জিনোমিক্স ল্যাব স্থাপন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:১৮ পিএম
বিনা'য় পীড়ন সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবনে জিনোমিক্স ল্যাব স্থাপন
সহনশীল ফসলের জাত

মোঃ নজরুল ইসলাম , ময়মনসিংহ : পীড়ন সহনশীল ফসলের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিনা) এই জিনোমিক্স ল্যাব করেছে।

একবিংশ শতাব্দী জিনোমিক্সের যুগ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন কৃষি গবেষণায় জিনোমিক্সের ব্যবহার শুরু করেছে। এই বিজ্ঞানের চর্চায় উদ্ভিদের জিনের গঠন, কাজ, বিবর্তন, জিন ম্যাপিং এবং জিনোম এডিটিং নিয়ে সম্যক ধারণা মেলে, যা জেনেটিক্স সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। জীবের জীবনের নীল-নকশা “ডিএনএ' ডিকোড করে ফসলের জেনেটিক গঠন উন্মোচিত করার মাধ্যমে জিনোমিক্স প্রথাগত জীববিজ্ঞানের সীমানা অতিক্রম করেছে। 

বৃহস্পতিবার ল্যাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়। এখন থেকে বিনার বায়োটেকনোলজি বিভাগে জেনেটিক ট্রান্সফরমেশন, জিনোম এডিটিং টেকনিক ব্যবহারের মাধ্যমে পীড়ন সহনশীল বিভিন্ন ফসলের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে। জিনোমিক্সের এই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণাগারটিতে সব সুবিধা রয়েছে। গবেষণাগারটিতে জিনোম এডিটিং, জেনেটিক ট্রান্সফরমেশন, ফাংশনাল জেনোমিক্সসহ সব অত্যাধুনিক বায়োটেকনোলজিক্যাল গবেষণা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

বিনা একটি বিশেষায়িত কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে সাফল্য। দেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান, ডাল, তেল, উদ্যানতাত্ত্বিকসহ অন্য ফসলের মোট ১২৮টি জাত উদ্ভাবন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিকূল আবহাওয়া সহনশীল জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিনার প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের রয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। সেই উদ্দেশ্যে নিউক্লিয়ার টেকনিকের সঙ্গে জীব প্রযুক্তির কলাকৌশল সমন্বয় করে প্রতিকূল আবহাওয়া সহনশীল জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে কৃষি মন্ত্রণালয় ২০২১ সালে রাজস্ব অর্থায়নে 'বিনার জীব প্রযুক্তি গবেষণা উন্নয়নের জন্য গবেষণাগার আধুনিকীকরণ কর্মসূচি' শীর্ষক একটি কর্মসূচির আওতায় আধুনিক জিনোমিক্স ল্যাবটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

বিনার মহাপরিচালক  বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার জিনোমিক্স ল্যাব উদ্বোধন করেন। এ সময় কর্মসূচি পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মনিরুল ইসলাম জিনোম এডিটিং টেকনিক ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের জাত উদ্ভাবনের ওপর বক্তব্য দেন।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কৃষিতে সবুজ বিপ্লবের পর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ট্রান্সজেনিক ফসলের জাত উদ্ভাবন একটি আলোচিত বিষয় এবং এই প্রযুক্তির অনেক সাফল্যও রয়েছে। যেহেতু ভিন্ন উৎস থেকে জিন নিয়ে অন্য ফসলে ব্যবহার করা হয়, তাই এই প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত জাত মানুষ গ্রহণ করতে আগ্রহী নয় এবং বিশেষজ্ঞ মহলে অনেক বিতর্কও রয়েছে।

ড. মো. মনিরুল ইসলাম জানান, জিনোমিক্স উচ্চ ফলনশীলতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, পুষ্টি উপাদানসহ পছন্দসই বৈশিষ্ট্যগুলোর দায়িত্বে থাকা জিনগুলো শনাক্ত করতে সহায়তা করে। কৃষি পদ্ধতিতে গবেষণার নতুন দুয়ার উন্মোচন করবে এই ল্যাব।

বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম আরো জানান, বর্তমানে জিনোম এডিটিং প্রযুক্তিতে ভিন্ন উৎস থেকে জিন গ্রহণ না করে একই জীবের জিনকে সংযোজন বা বিয়োজন করে নতুন ফসলের জাত উন্নয়নে কাজ করা হয়। ইতোমধ্যে এ প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতাও বেশ সাড়া জাগিয়েছে। তবে এ ধরনের গবেষণার জন্য বিশেষ ধরনের ল্যাব এবং যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়, যা এ কর্মসূচির অর্থায়নে অনেকটাই করা সম্ভব হচ্ছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image