• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রেক্ষিত শেখ হাসিনা মডেল


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:৫৬ পিএম
আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রেক্ষিত শেখ হাসিনা মডেল
আশ্রয়ণ প্রকল্প

মো.সোলায়মান কবির:

বাংলার মুক্তিকামী মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির উজ্জ্বল আকাঙ্খা নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। একদিকে যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে দেশ পুনর্গঠনের মহাযজ্ঞ, অন্যদিকে আকস্মিক বন্যা, নদীভাঙ্গন, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের  মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘরবাড়ি হারানো অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন করা সদ্য স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুর কাছে ছিল বড়ো চ্যালেঞ্জের বিষয়। তথাপি স্বাধীনতার ঊষালগ্নেই ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু ছিন্নমূল- ভূমিহীন- গৃহহীন মানুষকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  হাত ধরেই ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নোয়াখালী বর্তমান লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন, অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশী ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার পর দেশের গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবার পুনর্বাসনের মতো জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো স্থবির হয়ে পড়ে।  বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর  তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো পুনরায় শুরু করেন।

বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন এবং একই বছর তিনি সারা দেশের গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকেও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে শুরু করেন “আশ্রয়ণ প্রকল্প”। দেশের বিপুলসংখ্যক ভূমিহীন- গৃহহীন মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রহণ করেন।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি এদেশের ভাগ্যবিড়ম্বিত ভূমিহীন- গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করে তাদের আর্থসামাজিক অবস্থা বদলে দেওয়ার এক নতুন উন্নয়ন দর্শনের গোড়াপত্তন করেন। একটি ঘর প্রদান করে তিনি শুধু ছিন্নমূল মানুষের অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো চিরায়ত মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তাই বিধান করেননি,বরং তাদের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করে দারিদ্র্য মানুষের সম্মুখে উন্নয়নের নবদিগন্ত উন্মোচন করেছেন। ' কাউকে পিছনে ফেলে নয়, সকলকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার '- দর্শনটি আজ বাংলাদেশের অগ্রগতির অভিযাত্রায় অন্তর্ভুক্তমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল হিসেবে সমাদৃত, যা আর্থসামাজিক উন্নয়নের ধারাকে নবপল্লবে বিকশিত করে একটি ক্ষুধা- দারিদ্র্যমুক্ত আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথকে সুগম করেছে।  
 
সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলোকে উন্নয়নের মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য শেখ হাসিনা সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সমাজের মূলধারার মানুষের সাথে জলবায়ু উদ্বাস্তু, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী, তৃতীয় লিঙ্গ, ভিক্ষুক, বেদে, দলিত, হরিজনসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের জন্যও জমিসহ ঘর প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে তাদেরকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ১৯৯৭ সালে প্রকল্পের শুরু থেকে এ পর্যন্ত শুধু আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যারাক, ফ্ল্যাট, বিভিন্ন প্রকার ঘর ও মুজিববর্ষের একক গৃহে মোট ৫ লক্ষ ৭ হাজার ২৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।একটি গৃহ কীভাবে সামগ্রিক পারিবারিক কল্যাণে এবং সামাজিক উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হতে পারে তার অনন্য দৃষ্টান্ত ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন তথা দারিদ্র্যমোচনের এই নতুন পদ্ধতি ইতোমধ্যে ‘শেখ হাসিনা মডেল’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

শেখ হাসিনা মডেলের মূল ছয়টি বৈশিষ্ট্য উপার্জন ক্ষমতা ও সঞ্চয় বৃদ্ধি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা; সম্মানজনক জীবিকা ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা; নারীদের জমিসহ ঘরের অর্ধেক মালিকানা দিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন করা, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়িয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন করা; ব্যাপকহারে বনায়ন ও বৃক্ষরোপণ করে পরিবেশের উন্নতি সাধন করা এবং গ্রামেই শহরের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
 
মুজিববর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে সেমিপাকা একক গৃহ নির্মাণের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয় । সমগ্র দেশের সকল ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে মুজিববর্ষে জমিসহ সেমিপাকা ঘর দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এ কর্মসূচির ঊপকারভোগী ‘ক’ শ্রেণির পরিবার- সকল ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল, অসহায় দরিদ্র পরিবার।‘খ’ শ্রেণির পরিবার -সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ জমির সংস্থান আছে কিন্তু ঘর নেই এমন পরিবার।

প্রাথমিকভাবে ‘ক’ শ্রেণির পরিবারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি নিষ্কন্টক খাস জমি, সরকারিভাবে ক্রয়কৃত জমি, সরকারের অনুকূলে কারও দানকৃত জমি অথবা রিজিউমকৃত জমিতে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বিশেষ সংযোজন ২ কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা একক গৃহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহের এ প্রকল্পটিতে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সংযোজন করা হয় ৪০০ বর্গফুট আয়তনের ২ কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা একক গৃহ। এই ঘরে সুপরিসর ২ টি কক্ষের সামনে টানা বারান্দা এবং পেছনে রয়েছে রান্নাঘর ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাটট্রিন।

বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি পুনর্বাসিতদের জন্য রয়েছে নিরাপদ সুপেয় পানীর ব্যবস্থা। ক্লাস্টারভিত্তিক স্থাপিত প্রকল্প গ্রামগুলোতে সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিনন্দন লে-আউটের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রাস্তা, কমিউনিটি সেন্টার, পুকুর, খেলার মাঠ প্রভৃতি নিশ্চিত করা হয়।
 
এ প্রক্রিয়ায় মুজিববর্ষে প্রথম পর্যায়ে ২১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে ৬৩ হাজার ৯৯৯ টি পরিবারকে  জমির মালিকানাসহ ঘর প্রদান করা হয় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ জুন ২০২১ তারিখে ৫৩ হাজার ৩৩০টি পরিবারকে অনুরূপভাবে গৃহ প্রদান করা হয়। বর্তমানে তৃতীয় পর্যায়ে নির্মাণাধীন রয়েছে আরো ৬৫ হাজারেরও অধিক ঘর। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩টি পরিবারকে জমিসহ সেমিপাকা একক ঘর প্রদান করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দৃঢ় প্রত্যয়ের প্রমাণ রেখেছেন।

ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমি ও গৃহ প্রদান ইতিহাসে প্রথম ও সর্ববৃহৎ উদ্যোগ। রাষ্ট্রের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীকে মূলস্রোতে তুলে আনার জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বাসগৃহ নির্মাণ করে জমির চিরস্থায়ী মালিকানা দেওয়া হচ্ছে। জমি কেনার জন্য স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার উদাহরণ বিশ্বে কয়েকটি দেশে পাওয়া যায় কিন্তু বিনামূল্যে ঘরসহ জমির মালিকানা দেওয়ার ঘটনা বাংলাদেশেই প্রথম।

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে জানুয়ারি ২০২১ তারিখে জমির মালিকানাসহ হস্তান্তরিত গৃহের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৯৯৯টি,দ্বিতীয় পর্যায়ে জুন ২০২১ তারিখে জমির মালিকানাসহ হস্তান্তরিত গৃহের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৩৩০টি,প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত মোট একক গৃহের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯ টি, চলমান তৃতীয় পর্যায়ে নির্মাণাধীণ একক গৃহের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৬৭৪ টি,চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত মোট একক গৃহের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩টি, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে একক ঘরের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ৩ হাজার ৯৭১ কোটি ৬ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা,তৃতীয় পর্যায়ে চরাঞ্চলে বরাদ্দকৃত স্থানান্তরযোগ্য বিশেষ ডিজাইনের গৃহের সংখ্যা ১হাজার ২৪২টি।

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে একক গৃহ নির্মাণের লক্ষ্যে সারাদেশে উদ্ধারকৃত খাস জমির  পরিমাণ ৫ হাজার ৫১২.০৪ একর, সারাদেশে উদ্ধারকৃত খাস জমির আনুমানিক স্থানীয় বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৬৭ কোটি ৯ লক্ষ টাকা। জমি ক্রয়ের মাধ্যমে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে  সারাদেশে ক্রয়কৃত জমির  পরিমাণ ১৫৫ একর,  জমি ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ১০৮ কোটি ৯১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
দেশের সবচেয়ে বড়ো আশ্রয়ণ প্রকল্পটি গড়ে উঠছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের মনকাশাইর গ্রামে। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা এই প্রকল্পে একসঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে ৪ শতাধিক দৃষ্টিনন্দন ঘর। উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী ১২.৩৫ একর সরকারি খাস জমিতে ৪ শতাধিক পরিবারের জন্য ঘরগুলো নির্মিত হচ্ছে।

দৃষ্টিনন্দন রঙিন টিনের দুই কামরার সেমিপাকা ঘর, বারান্দা, রান্নাঘর ও শৌচাগার নির্মিত হচ্ছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৫০০টাকা। আলাদা ৪ হাজার টাকা মালামাল পরিবহণ খরচ ধরা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বৃহৎ এই আশ্রয়ণ প্রকল্পটি অন্যগুলোর চেয়ে ভিন্ন। কারণ এই প্রকল্পে ৪ শতাধিক পরিবারের জন্য থাকছে আলাদা বাজার, স্কুল, খেলার মাঠ, মসজিদ-মন্দির, কবরস্থান ও পুকুর। আশ্রায়ণ প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার পর ঘরের চালগুলো ওপর থেকে জাতীয় পতাকার মতো দেখা যাবে। প্রকল্পটির ঘরগুলো যাদের জমি-ঘর কিছুই নেই তাদের বরাদ্দ দেওয়া হবে। আর এই প্রক্রিয়াটি হবে লটারির মাধ্যমে।
 
হতদরিদ্র দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। এসডিজি ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নের ফলে অসমতা কমানো, বিভিন্ন সেবায় প্রবেশগম্যতা, বিদ্যুৎ ও নিরাপদ পানি প্রাপ্তি এবং নাগরিক মর্যাদাকেন্দ্রিক বাধা-বিপত্তির অবসান হবে। একই সাথে জেন্ডার ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কেন্দ্রিক অসমতাগুলো দূরীভূত হবে। শুধু গৃহায়ণের ফলেই কর্মসংস্থান ও উপার্জনের সুযোগের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। গুচ্ছভিত্তিক আবাসনের ফলে সর্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা একই স্থান থেকে দেওয়া হবে।

ফলে, পরিবার কল্যাণ সহকারী এবং স্বাস্থ্যসেবা সহকারীগণ গ্রামীণ এলাকায় নিয়মিত উপকারভোগীদের সাথে সংযুক্ত থেকে সেবা দিতে পারবেন। স্থানীয় পর্যায়ে নির্মাণ সামগ্রী সরাসরি গ্রামীণ বাজার থেকে সংগ্রহের ফলে নির্মাণ ব্যয় তুলনামূলক কম হচ্ছে এবং একই সাথে গ্রামীণ অর্থনীতিও চাঙ্গা হচ্ছে। এই একটি প্রকল্পের মাধ্যমেই পারিবারিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের নব দিগন্ত সূচনা হয়েছে বাংলাদেশের আকাশে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image